Maha Kumbh After 144 Years: গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর মিলনস্থল প্রয়াগরাজেই এবার এই আশ্চর্য কুম্ভ! না পৌঁছতে পারলে কিন্তু মনুষ্যজন্মই বৃথা...
Maha Kumbh Mela 2025 After 144 Years: প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জয়িনী-- এই হল কুম্ভের চার জায়গা। এই চার জায়গার কুম্ভ ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকারও অন্তর্ভুক্ত। কুম্ভ মেলা তিন দুধরনের-- অর্ধ কুম্ভ এবং পূর্ণ কুম্ভ এবং মহা কুম্ভ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ), হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জয়িনী-- এই হল কুম্ভের চারটি জায়গা। একযুগ, বারো বছর পরে-পরে আসে এই মহালগ্ন, মহাকুম্ভ মেলা। প্রয়াগরাজ গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নদীর মিলনস্থল, হরিদ্বারে গঙ্গা, নাসিকে গোদাবরী, আর উজ্জয়িনীতে শিপ্রাতীরে এই মহাআসর বসে। এই চার জায়গার কুম্ভ ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকারও অন্তর্ভুক্ত। কুম্ভ মেলা মোট তিন দুধরনের-- অর্ধ কুম্ভ এবং পূর্ণ কুম্ভ এবং মহা কুম্ভ।
1/6
১৩-২৬
2/6
মোট ছ'টি স্নান
photos
TRENDING NOW
3/6
অক্ষয়বট দর্শন
4/6
হিউয়েন সাংয়ের লেখাতেও
5/6
অথর্ব বেদেও
তবে সবচেয়ে তাজ্জব করে দেয় অথর্ব বেদ। অতি প্রাচীন এই বেদেও কুম্ভ মেলার উল্লেখ আছে! অথর্ব বেদ উল্লেখ করেছে 'চতুর্থ দদামি'; 'পূর্ণ: কুম্ভসাধিকাল আহিতস্তম'! চোদ্দো-পনেরো শতকের পণ্ডিত সায়ন এবং সতেরো শতকের পণ্ডিত উদগীথস দেখিয়েছেন, প্রথম যে শ্লোক সেখানে ভিশাত্রী যজ্ঞের কথা বলা হচ্ছে। তবে, একটি ব্যাপার আছে। এখানে 'কুম্ভ' শব্দটি মেলা বোঝাচ্ছে না, এখানে কুম্ভ মানে কলস!
6/6
১৪৪ বছর পরে
৬ বছর ছাড়া-ছাড়া হয় অর্ধ কুম্ভ, আর ১২ বছর পর-পর হয় পূর্ণকুম্ভ। এই চাকাটা ঘুরতেই থাকে। এভাবেই ওই চার জায়গায় মেলার দিন-তিথি পড়ে। কিন্তু মহাকুম্ভ মেলা? মহাকুম্ভ অত্যন্ত বিরল। এবার প্রয়াগরাজে এই মহাকুম্ভ হচ্ছে প্রায় ১৫০ বছর পরে। ঠিক-ঠিক বললে, ১৪৪ বছর পরে। এর অর্থ, একাধিকবার প্রয়াগরাজে অর্ধকুম্ভ ও পূর্ণকুম্ভ মেলার আসর বসেছে অতীতে, কিন্তু এখানে শেষবার মহাকুম্ভ হয়েছিল আজ থেকে ১৪৪ বছর আগে! ভাবা যায়! প্রসঙ্গত, 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় তীর্থযাত্রীদের সমাবেশ' হিসেবে বিবেচিত কুম্ভ মেলা। কুম্ভমেলা ইউনেস্কোর 'মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বমূলক তালিকা'রও অন্তর্ভুক্ত। ২০১৯ সালের কুম্ভ মেলায় ২০ কোটিরও বেশি ভক্ত উপস্থিত হয়েছিলেন! (Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)
photos