অয়ন ঘোষাল: সময় লাগল ৪ বছর। অবশেষে শেষ হল টালা ট্যাঙ্ক সংস্কারের কাজ। আগামী ১০০ বছর আর সংস্কারের প্রয়োজন হবে না, জানালেন কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। টালা ট্যাঙ্ক পরিদর্শন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
2/7
ভারতের অন্যতম প্রাচীন জলাধার টালা। এই জলাধারে ৪ প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এক-একটি প্রকোষ্ঠের জলধারণ ক্ষমতা প্রায় সাড়ে ২২.৫ লক্ষ গ্যালন। আর পুরো জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা প্রায় ৯০ লক্ষ গ্যালন। উচ্চতা, ১১০ ফুট।
photos
TRENDING NOW
3/7
তখন ভারত শাসন করছে ব্রিটিশরা। ১৯০৭স সালে অগস্টে কলকাতায় টালা ট্যাঙ্ক তৈরির কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯০৯ সালের ১৮ নভেম্বর। টাইটানিক জাহাজ যে ইস্পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, সেই একই ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে টালা ট্যাঙ্কেও।
4/7
৪ বছর আগে টালা ট্যাঙ্ক সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা পুরসভা। সেইমতো কাজও শুরু হয়ে যায়। হয়তো সেই কাজ শেষও হয়ে যেত, কিন্তু বাদ সাধল করোনা!
5/7
টালা ট্যাঙ্ক সংস্কারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কোম্পানি। তারা জানিয়েছে, ২১২৩ সালে ফের সংস্কার করা হবে টালা ট্যাঙ্ক! মাঝের একশোর বছরেও আর কোনও মেরামতি বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হবে না।
6/7
এখন জলাধারটি রঙ করার কাজ করছে কলকাতা পুরসভা। এই গোটা প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা।
7/7
এই জলাধার সংস্কারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, স্যান্ডউইচ কংক্রিট ব্যবস্থা। কী সেই ব্যবস্থা? দুটি লোহার প্লেটের মাঝে কংক্রিট দেওয়া হয়েছে। তারপর প্রকোষ্ঠ গুলির মেঝেতে বসানো হয়েছে। এরপর রং করে বারবার জল ভরে দেখা হয়েছে প্রকোষ্ঠ গুলি থেকে কোথাও জল পড়ছে কিনা, কোথাও ছিদ্র আছে কিনা।