করোনার মাঝেই 'Black Fungus' এর চোখরাঙানি, রুখতে পাঁচ পরামর্শ কেন্দ্রের

রাজধানীতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ৬, কী এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস? জানুন বিশদে 

May 08, 2021, 09:22 AM IST
1/5

নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার মাঝেই কালো ছত্রাক (Black Fungus)বা মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) এর প্রাদুর্ভাব ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত এই মারণ ছত্রাকে ইতিমধ্যেই রাজধানীতে আক্রান্ত হয়ে হাসাপাতলে ভ্রতি হয়েছেন ৬ জন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির একাধিক চিকিৎসকও। তবে উল্টো কথাই শোনাল কেন্দ্র। নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ভিকে পাল শুক্রবার জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোভিডের সঙ্গেও এর বিশেষ কিছু সম্পর্ক নেই। সাধারণত উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগীদেরই এটি আক্রমণ করে। এর সাথে কোভিড সংক্রমণের যোগাযোগ নেই।   

2/5

কী এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস?

আমেরিকার অতিমারি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানাচ্ছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি বিরল ছত্রাকের সংক্রমণ। চারপাশের পরিবেশেই বাস। বাতাস থেকে প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই ছত্রাকের বীজ দেহে প্রবেশ করলে সাইনাস বা ফুসফুসকে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করে। এর আক্রমণের ফলে ত্বকে কাটা, পোড়ার মতো দাগ রয়ে যায়। ফুসফুস প্রতিস্থাপন বা আইসিইউতে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে ভয়াবহ ভূমিকা নেয় এই ভাইরাস।

3/5

ভি কে পাল এর মতে, "ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ভিজে জায়গাতেই বাঁচে। ডায়াবেটিস নেই এমন রোগীদের মধ্যে এর সংক্রমণের সম্ভাবনা ক্ষীণ। কোভিড রোগীদের মধ্যে ছত্রাকের সংক্রমণের  খবর মিলেছে বটে তবে আমি জানাতে চাই এখনও কোনো বড় সংক্রমণ ঘটেনি। আমরা সবরকম স্তর থেকে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছি।" এই ছত্রাকের সংক্রমণ সম্পূর্ণ প্রতিরোধ্য এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে চিন্তার কারণ নেই বলেই মত ভি কে পালের।

4/5

'মূলত তিনটি ফ্যাক্টর কাজ করছে এই ফাঙ্গাসের সংক্রমণে। মাত্রাছাড়া ডায়াবেটিস, স্টেরয়েডের ব্যবহারে অনাক্রমতা হ্রাস বা অন্যান্য রোগ এবং চারপাশের জায়গা ভিজে, স্যাঁতস্যাঁতে রাখা। কোভিড বা শ্বাসকষ্টের কোনোটাই এর জন্য প্রয়োজন নয়। ডায়াবেটিক করোনা রোগীকে যদি অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয় সেক্ষেত্রে আর্দ্রতাজনিত কারণেও সংক্রমণ ঘটতে পারে।', জানান ভি কে পাল।  

5/5

করোনা রোগীদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ রুখতে ৫টি ব্যবস্থা তালিকাভুক্ত করেছেন ডঃ পাল। চিকিৎসকদের তা মানার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলছেন, প্রথমত কোভিড হোক বা না হোক ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। দ্বিতীয়ত, করোনার চিকিৎসায় স্টেরয়েডের ব্যবহার করতে হবে বিচক্ষণভাবে। পরামর্শ অনুযায়ী এবং ছয় দিন পরে ব্যবহার করতে হবে। তৃতীয়ত তাঁর পরামর্শ, কোভিড রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার সময় হিউমিডিফায়ারে বিশুদ্ধ জল রাখতে হবে। চতুর্থত, কোভিড রোগীর ও তাঁর চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যিক। এবং সব শেষে তাঁর মত, মুখে যদি কোনো ঘা বা আলসার জাতীয় কিছু দেখা দেয়, তাহলে তা অবিলম্বে চিকিৎসা করতে হবে।