Nipah virus: মৃত্যু হার ৫০ শতাংশ, অতিমারীর আতঙ্ক নিয়ে চোখ রাঙাচ্ছে নিপা?

Nov 01, 2021, 14:23 PM IST
1/8

নিজস্ব প্রতিবেদন : অতিমারীর নয়া আতঙ্ক নিয়ে চোখ রাঙাচ্ছে নিপা ভাইরাস? ভারতে সাম্প্রতিক নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

2/8

নিপা ভাইরাসের হদিশ প্রথম মেলে ১৯৮ সালে মালয়শিয়াতে। এবার সম্প্রতি কেরালায় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে এক যুবকের মৃত্যুর পরই ভারতে নিপার সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমীক্ষা বলছে, কেরালায় ৪ বছরে ৩ গুণ বেড়েছে নিপার সংক্রমণ।

3/8

এখন নিপা নিয়ে আতঙ্ক যে অমূলক নয়, তার প্রথম ও প্রধান কারণ হল, এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কোনও ভ্যাকসিনের পরীক্ষাও হয়নি।

4/8

এবার প্রশ্ন হচ্ছে নিপা ভাইরাসের থেকে অতিমারীর ঝুঁকি কতখানি? এক্ষেত্রে বিবেচনা করে দেখতে হবে নিপা ভাইরাস কীভাবে সংক্রমিত হয় ও কীভাবে নিজের মিউটেশন ঘটায়। এখন নিপা হচ্ছে প্যারামিক্সোভাইরাস। অর্থাত্ এটা মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার জন্য আমাদের সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি হয়।

5/8

প্রধানত সংক্রামিত বাদুড় থেকে এর সংক্রমণ ছড়ায়। মলমূত্র, লালারস সহ বাদুড়ের শরীর নিঃসৃত যেকোনও পদার্থের মধ্যে এই ভাইরাস থাকতে পারে। তা থেকেই ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।

6/8

এখন বিশেষ করে ফলের রস থেকে এই ভাইরাস মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ফলের রসের সঙ্গে যদি বাদুড়ের মূত্র মিশে যায়, তবে সেই ফলের রস খেলে মানব শরীরেও সংক্রণ ঘটতে পারে। এপ্রসঙ্গে বলা যায়, খেজুর- তাল গাছে বাদুড় সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই তালের রসে মিশতে পারে বাদুড়ের মূত্র।

7/8

উল্লেখ্য, নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ বাংলাদেশে প্রতিবছর হয়। কারণ ওখানে বাদুড়ের অধিক সংখ্যায় উপস্থিতি। তাই ভারতে নিপার সংক্রমণ ঠেকাতে হলে বাদুড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি আটকাতে হবে। সেইসঙ্গে সংক্রামিত ব্যক্তির অন্যান্যদের সংসর্গে আসাও আটকাতে হবে। কারণ মানবশরীরে এই ভাইরাস সংক্রামিত হলেই, তা নিজের জিনের মিউটেশন ঘটাতেও সক্ষম হবে। 

8/8

এই ভাইরাস মূলত শ্বাসনালীর ঊর্ধ্বভাগে সংক্রমণ ঘটায়। তবে গবেষকদের কথায়, নিপা নিয়ে এখনই অতিমারীর ঝুঁকি নেই। মৃত্যু হার বেশি হলেও এখনও সংক্রমণ হার মাত্রা ছাড়ায়নি। তাই গোড়াতেই এর বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নিতে হবে। তবে আটকানো যাবে অতিমারী।