মুখ বাঁচাতে আর একটা মিথ্যা, জইশের অস্তিত্ব অস্বীকার পাক সেনার

Mar 06, 2019, 20:45 PM IST
1/10

একের পর এক মিথ্যা বলেও ধরা পড়ছে পাকিস্তান। তাও শোধারাচ্ছে না ইসলামাবাদ। এবার পাকিস্তানি সেনার মুখপাত্র দাবি করলেন, জইশ-এ-মহম্মদের অস্তিত্বই নেই পাক ভূখণ্ডে। আরও একবার প্রমাণ হল, পুরনো নাটকেই ফিরল পাকিস্তান। তাদের শান্তির বার্তা খালি মুখেই।     

2/10

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় শহিদ হন আধা সামরিক বাহিনীর ৪০ জন জওয়ান। হামলার দায় স্বীকার করেছিল জইশ। 

3/10

পাকিস্তানের নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে জইশ-এ-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার। আর সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসি। একটি বিদেশ চ্যানেলে কুরেসি দাবি করেন, কিডনির অসুখে আক্রান্ত মাসুদ আজহার। তার চিকিত্সা চলছে। 

4/10

পাক বিদেশমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট, তাদের নিরাপত্তাতেই রয়েছে মাসুদ আজহার। এমনকি মঙ্গলবার জইশের প্রধান ভাই ও ছেলেকে আটক করে আন্তর্জাতিক মহলে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছে ইসলামাবাদ। 

5/10

জইশ প্রধানমন্ত্রী আস্তানা যে তাদের দেশে রয়েছে, তা স্বীকার করে মহা বিপদে পড়েছে পাকিস্তান। আর সেটা ঢাকতেই আরও একটা মিথ্যা বললেন পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। তাঁর কথায়, ''প্রথমত পাকিস্তান থেকে পুলওয়ামাকাণ্ডে দায় স্বীকার করেনি জইশ। এদেশে তাদের অস্তিত্বই নেই''।    

6/10

রাষ্ট্রসঙ্ঘে যেভাবে ভারত মামলা সাজাচ্ছে, তাতে চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। আর সেটা প্রকাশ পেয়েছে গফুরের কথায়। পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন,''রাষ্ট্রসঙ্ঘ জইশকে নিষিদ্ধ করেছে। কারও চাপে কিছু করছি না''।

7/10

ভারতের সঙ্গে আরও একবার শান্তির বার্তাও দিয়ে রেখেছে কোণঠাসা পাকিস্তান। গফুরের দাবি, অভিনন্দনকে ছেড়ে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে পাকিস্তান। উত্তেজনা প্রশমনে এবার ভারতের কোর্টে বল। 

8/10

দুদেশের মধ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন গফুর। তাঁর কথায়, ''যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। ওরা পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল, তার পাল্টা জবাব দিয়েছি। নিয়ন্ত্রণ রেখায় মোতায়েন জওয়ানদের সংখ্যা বাড়িয়েছিল দুই দেশ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটা স্বাভাবিকই''।    

9/10

পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করে সেনা। বিদেশমন্ত্রী যেভাবে আন্তর্জাতিক মহলে দেশের নাক কাটিয়েছেন, তাতে সেনাকে আসরে নামতেই হত। আর সেটাই করলেন গফুর। কিন্তু তাতে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে দিয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারকে। 

10/10

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী যৌথ সংসদের অধিবেশনে স্বীকার করেছিলেন, আজহার মাসুদের মাদ্রাসা ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।