Bangladesh Padma Multipurpose Bridge: 'স্বপ্নের সেতু' নিয়ে পদ্মার ঢেউয়ের মতোই আবেগে উত্তাল বাংলাদেশ

স্বপ্নের সেতু'কে চাক্ষুষ করতে অনেকেই ছুটে এসেছেন দূরদূরান্ত থেকে। আজ, রবিবার, বাংলাদেশে প্রথম কাজের দিন সকাল ৬টায় খুলে গেল পদ্মা সেতু। যার পোশাকি নাম 'পদ্মা মাল্টিপার্পাস ব্রিজ'।  

| Jun 26, 2022, 16:30 PM IST

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, ঢাকা: 'স্বপ্নের সেতু'কে চাক্ষুষ করতে অনেকেই ছুটে এসেছেন দূরদূরান্ত থেকে। আজ, রবিবার, বাংলাদেশে প্রথম কাজের দিন সকাল ৬টায় খুলে গেল পদ্মা সেতু। যার পোশাকি নাম 'পদ্মা মাল্টিপার্পাস ব্রিজ'। দক্ষিণপশ্চিমের জেলার অনেক বাসিন্দাই গত কয়েকদিন ঢাকা এবং আশেপাশের জেলায় কাজে এসে আটকে পড়েছিলেন পদ্মার ফেরি সার্ভিস বন্ধ থাকায়। অনেকে আবার ইচ্ছে করে থেকেও গিয়েছিলেন, পদ্মা ব্রিজ দিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে। ফলে, সাতসকালেই ঢাকা থেকে পদ্মা ব্রিজ পৌঁছনোর পথে গাড়ির ভিড়। গাড়ির দীর্ঘ লাইন সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পদ্মা ব্রিজ পেরোনোর অপেক্ষায়। যাঁরা দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন তাঁদের কারও কারও পরিজন থাকেন দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলায়। পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ায় তাঁরা এবার ঈদে সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন বলে খুশির সুর তাঁদের গলায়।

 

1/6

'পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ'

গতকাল শনিবারই বহু প্রতীক্ষিত এই 'পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ'-এর (Padma Multipurpose Bridge) উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Bangladesh Sheikh Hasina)। ব্রিজের প্রথম টোলও দেন তিনিই। 

2/6

কমল দূরত্ব, বাঁচবে সময়

যে পথ অতিক্রম করতে এতদিন (ফেরিতে) ১০-১১ ঘণ্টা সময় লাগত, এখন এই নতুন সেতুর সূত্রে মাত্র ঘণ্টাখানেকেই সেই দূরত্ব পার করা যাবে। পদ্মা সেতু তৈরির ফলে ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর 'মঙ্গলা'। সড়ক এবং রেলপথে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকা যাওয়ার সময়টাও একধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে বলেও শোনা যাচ্ছে। 

3/6

নিজেদের সামর্থ্যেই

এই সেতুর লম্বা ইতিহাস। ২০১১ সালে পদ্মা সেতুর জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। পরে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাঙ্ক অর্থের জোগান বন্ধ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Bangladesh Sheikh Hasina) ঘোষণা করেন, কারও সাহায্যে নয়, বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্যেই পদ্মা সেতু গড়বে। ২০১৪ সাল থেকে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় এই সেতু।

4/6

সেতু নির্মাণে একযোগে

পদ্মা সেতু (Padma Multipurpose Bridge) নির্মাণে একযোগে কাজ করেছেন ভারত, চিন, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, জাপান, ডেনমার্ক, ইতালি, মালয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, নেপাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ ও ইঞ্জিনিয়ররা।

5/6

৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ

৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু ৯১৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে তৈরি হয়েছে।

6/6

ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো আকৃতি

২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল এই সেতুর। উদ্বোধন হল ২৫ জুন, ২০২২ সাল। জানা গিয়েছে, দৈনিক ৭৫ হাজার যান পরিবহণে সক্ষম হবে এই সেতু। জলস্তর থেকে ১৮ মিটার উচ্চতায় তৈরি এটি। ইংরেজি এস (S) অক্ষরের মতো আকৃতির এই সেতু সম্ভব করবে ঢাকার সঙ্গে ২১টি জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। এর ফলে উপকৃত হবেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ।