প্রিয়ঙ্কার অন্তর্ভূক্তি মাস্টারস্ট্রোক নাকি উত্তরপ্রদেশ বিজেপির হাতে তুলে দিলেন রাহুল?

Jan 23, 2019, 18:01 PM IST
1/6

সক্রিয় রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পা রাখলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রিয়ঙ্কাকে দলের মহাসচিব করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে কংগ্রেস। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সত্যিই কি এটা মাস্টার স্ট্রোক? নাকি বিজেপির ফায়দা করিয়ে দিল কংগ্রেস? 

2/6

প্রিয়াঙ্কা মহাসচিব হওয়ার পর রাহুলের নেতৃত্বের উপরে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, রাহুলকে দিয়ে আর হচ্ছে না। আর সে কারণেই প্রিয়ঙ্কাকে আসরে নামিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতারা লাগাতার দাবি করে আসছেন, ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে মুখের মিল রয়েছে প্রিয়ঙ্কার। ইন্দিরার প্রতি আবেগ প্রতিফলিত হবে ইভিএমে। কিন্তু ১৯৮০ সালে শেষবার লোকসভা ভোটে লড়েছিলেন ইন্দিরা। আজ থেকে ৩৯ বছর আগে। হিসেব বলছে, তখনও ২১ বছরের যে যুবক (তখন ভোটাধিকারের ন্যূনতম বয়স ২১) ইন্দিরা গান্ধীকে ভোট দিয়েছিলেন, তিনি এখন ৬০ বছরের। বর্তমানে অধিকাংশ ভোটারাই ইন্দিরাকে পড়েছেন পাঠ্যবইয়ে। তাঁদের কাছে ইন্দিরা আবেগ কতখানি কাজ করবে, তা নিয়ে থাকছে প্রশ্ন। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় নেতা নরেন্দ্র মোদী। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৭০ শতাংশ জনসাধারণের বয়স ৪৫ বছর। আর যুবকদের মধ্যে মোদীর জনপ্রিয়তা অবিসংবাদী।  

3/6

'গরিবি হঠাও'-এর স্লোগান দিয়ে সমাজের গরিব, দলিতদের ভোট পেয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু সেই দলিত ভোটে ভাগ বসিয়েছেন মায়াবতী। সেই ভোট যদি প্রিয়ঙ্কা ছিনিয়ে নেন, তাতে লাভবান হবে বিজেপিই।

4/6

উত্তরপ্রদেশে অকংগ্রেসি ও অবিজেপি জোট গড়েছে সপা-বসপা। গত কয়েকবছরের ভোটের ট্রেন্ড বলছে, কংগ্রেস, বসপা ও সপার ভোটার একই। বিশেষ করে তিন দলেরই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের উপরে আধিপত্য রয়েছে। কংগ্রেস দুর্বল হওয়ায় সংখ্যালঘুরা সপা-বসপাকে বেছে নিয়েছেন। আর কংগ্রেস শক্তিশালী হলে সপা-বসপার কোর ভোটব্যাঙ্কই বাটোয়ারা হয়ে যাবে। তার সরাসরি লাভ পাবে বিজেপি।

5/6

একাধিক মামলায় ঘিরে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢড়া। ২০১৪ সালে সনিয়া গান্ধীর জামাতার বিরুদ্ধে হামলা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেগুলি নিয়ে সোচ্চার হবে বিজেপি। তার প্রভাব পড়তে পারে ভোটে। 

6/6

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করে আসছে বিজেপি। সেই অভিযোগ এদিন মান্যতা পেল। সম্বিত পাত্র ইতিমধ্যেই কটাক্ষ করেছেন, কংগ্রেসের জন্য পরিবারই দল। বিজেপির দলই পরিবার'।