টর্চের আলোয় লেজটা চোখে পড়েছিল, ধরে টানতেই পেঁচিয়ে ধরল অজগর, এই বাড়িতে ভয়ঙ্কর ঘটনা!

Aug 20, 2020, 12:27 PM IST
1/7

অজগর সাপ উদ্ধার করতে গিয়ে বিপাকে পরিবেশকর্মী। অজগর সাপ পেঁচিয়ে ধরেছিল তাঁকে। সহযোগীর তত্পরতায় কোনওভাবে সেযাত্রায় বেঁচেছেন বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী। এবার জলপাইগুড়ি শহরেই অজগর সাপের আতঙ্ক।

2/7

জলপাইগুড়ি শহর থেকে উদ্ধার হল অজগর সাপ। তবে কি ক্রমশ শহরমুখী হচ্ছে অজগর সাপ?  ঘটনায় এই প্রশ্ন ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। চা বাগান বা বনজঙ্গলে ঘেরা ডুয়ার্সে প্রায় প্রতিদিন বেশ কয়েকটি করে অজগর সাপ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। এবার বিশাল সাইজের অজগর সাপের দেখা মিলল জলপাইগুড়ি শহরে।

3/7

বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি শহরের ২১ নং ওয়ার্ডের শিরিসতলা এলাকায় থাকা এক কাঠের মিলের সামনে একটি বিশাল অজগর সাপ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরিবেশ কর্মী বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরীর কাছে খবর যায়। তিনি তাঁর এক সহযোগী নাগেশ্বর সাহাকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছে যান।

4/7

ততক্ষণে অজগর সাপটি কাঠের মিলের দেওয়াল বেয়ে টিনের চালের ওপর উঠে যায়। অন্ধকারের মধ্যে টর্চের আলো জ্বেলে দেওয়াল বেয়ে টিনের চালের ওপর উঠেন বিশ্বজিৎবাবু। অজগরের ল্যাজ হাতের সামনে পেয়ে টান মারতেই বিপত্তি সৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে উল্টো দিক থেকে অজগর সাপটি লাফিয়ে এসে বিশ্বজিৎবাবুকে পেঁচিয়ে ধরে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁর সহযোগী চালের ওপর উঠে অজগরের প্যাঁচ থেকে তাকে মুক্ত করেন।

5/7

বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, “এটি একটি বার্মিজ পাইথন। উদ্ধারের সময় আমাকে পেঁচিয়ে ধরেছিল সাপটি। এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমি কখনই হইনি। নাগেশ্বর সাহা না থাকলে আমি সমস্যায় পড়তাম। সাপ উদ্ধারের পর টিনের চাল থেকে নামার রাস্তা বা মই না থাকায় আরও সমস্যায় তৈরি হয়।”

6/7

 ১২ ফুট লম্বা বার্মিজ পাইথনটিও সমানে ছটফট করতে থাকে। এই ভাবে ৪৫ প্রায় মিনিট থাকার পর অবশেষে কোনও উপায় না দেখে দমকলকে খবর দিলে তাঁরা গিয়ে সাপ সমেত বিশ্বজিত্কে নিচে নামান। এরপর আমি বনদপ্তরে খবর দিলে তারা এসে আমার কাছ থেকে সাপটিকে নিয়ে যায়। আমার ধারনা বন ধ্বংসের অন্যতম কারন অজগর সাপ ক্রমশ শহরমুখী হওয়া।

7/7

পরে বনদফতরের হাতে সাপটিকে তুলে দেওয়া হয়। বনকর্মী সৌভিক মণ্ডল বলেন, “কোনওভাবে এটি মাইগ্রেট করে শহরে এসেছে। আসলে বার্মিজ পাইথন প্রচণ্ড পরিমাণে মাইগ্রেট করে। এরা মাইগ্রেট করতে করতে ক্রমশ জেলা জুড়ে ছড়াচ্ছে। এই সাপটিকে শারিরীক পরীক্ষার পর তাকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছাড়া হবে।”