দেবীর স্বপ্নাদেশে রানি রাসমণি গড়ে তুললেন অপূর্ব এই দেবালয়

| May 31, 2021, 18:59 PM IST
1/9

এক বিখ্যাত বাঙালি কথাসাহিত্যিক দক্ষিণেশ্বরের শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরটিকে 'ল্যাবরেটরি' অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। আসলে ওই ঘরে উনিশ শতকের উজ্জ্বলতম সব জ্যোতিষ্কেরা কখনও-না-কখনও পৌঁছেছেন। তাঁরা গিয়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে আলোচনা হয়েছে নানা ভাব-তত্ত্ব-দর্শন। কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, পরবর্তীকালে যে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন তৈরি হয়, তার পরোক্ষ  শুরুয়াতও এই ঘরেই।   

2/9

এহেন 'ঠাকুরের ঘর' যেখানে সেই দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরও বাঙালি তথা ভারতীয় ধর্মীয়  সংস্কৃতিতে এক উজ্জ্বল নাম। আজকের তারিখেই এহেন এক মন্দিরের প্রতিষ্ঠা। ১৮৫৫ সালের ৩১ মে-ই রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠিত এই দেবালয় খুলে যায় ভক্তজনের জন্য। 

3/9

১৮৪৭ সালে রানি রাসমণি ঠিক করেন, তিনি কাশীযাত্রা করবেন। সেইমতো সমস্ত আয়োজন প্রস্তুত।   

4/9

যাত্রার ঠিক আগের দিন তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন মা কালী। তিনি বলেন, কাশী যাওয়ার প্রয়োজন নেই রাসমণির, সে যেন একটি মন্দির স্থাপন করে গঙ্গাতীরেই তাঁর পূজা শুরু করে! 

5/9

এই স্বপ্নই রাসমণিকে প্রেরণা জোগায়। তিনি গঙ্গাতীরে জমি কেনেন। ১৮৪৭-তে শুরু হয় দক্ষিণেশ্বরের এই মা ভবতারিণীর মন্দির নির্মাণের কাজ। 

6/9

শেষ হয় ১৮৫৫ সালে। ১০০ ফুটেরও বেশি উঁচু নবরত্ন এই মন্দিরের স্থাপত্য নয়নাভিরাম। সেই সময়ে এই মন্দির তৈরি করতে লেগেছিল ন'লক্ষ টাকা! 

7/9

এই মন্দিরের গর্ভগৃহে এক রৌপ্যপদ্মের উপরে শুয়ে থাকা শিবের বুকে দণ্ডায়মান দেখা যায় মা ভবতারিণীকে। পাথর কুঁদে তৈরি করা হয়েছিল এ মূর্তি। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে মা ভবতারিণীর মন্দির ছাড়াও ছিল দ্বাদশ শিবমন্দির ও বিষ্ণুমন্দির।    

8/9

১৮৫৫ সালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে নিযুক্ত কলকাতার বিখ্যাত ব্রাহ্মণপণ্ডিত রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। ইনিই শ্রীরামকৃষ্ণের দাদা। রামকৃষ্ণও এ সময়ে দাদা রামকুমারের সহযোগীরূপে দক্ষিণেশ্বরে আসেন। রামকুমারের মৃত্যু হলে তিনিই দাদার স্থলাভিষিক্ত হন। ১৮৮৬ পর্যন্ত তিন দশক শ্রীরামকৃষ্ণের সঙ্গে এই মন্দিরের যোগাযোগ।

9/9

আজও বিপুল সংখ্যক মানুষ এই মন্দিরে আসেন। আসেন মা ভবতারিণীর দর্শন করতে। আসেন দ্বাদশ শিবমন্দির দর্শন করতে। আর অবশ্যই আসেন শ্রীরামকৃষ্ণের সেই ঐতিহ্যবিজড়িত ঘর দেখতে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। ভক্তমণ্ডলীতে শতাব্দীপ্রাচীন এই শাক্তপীঠের আকর্ষণ আজও একই রকম।