ঠাকুমার বলা একটি কথা মেনে নিয়েই আজ তিনি এতটা সফল, জন্মদিনে জানালেন Ratan Tata

Dec 28, 2020, 17:57 PM IST
1/8

পূর্বপুরুষদের সূত্রে তিনি একটাই জিনিস পেয়েছিলেন। টাটা উপাধি। বাকি সবটাই তিনি অর্জন করেছেন। রতন টাটা। যাঁর নাম এখন দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত। আজ সেই রতন টাটা ৮৩ বছরের হলেন।

2/8

খুব ছোট বয়সেই পারিবারিক সমস্যায় জেরবার হয়েছিলেন তিনি। ঠাকুমা পাশে না থাকলে আজকের রতন টাটা হয়তো সেই সময়ই হারিয়ে যেতেন। তাই যে কোনও সময়ই রতন টাটার মুখে তাঁর ঠাকুমার কথা শোনা যায়।

3/8

বাবা-মায়ের যখন বিবাহবিচ্ছেন হয়, রতন টাটা তখন মাত্র দশ বছরের। ১৯৪৮ সাল। সেই সময় রতন টাটাকে নিজের কাছে রাখবেন বলে ঠিক করেন ঠাকুমা নবজিভাই। 

4/8

রতন টাটা ও তাঁর ভাইকে কখনও মা-বাবার অভাব বোধ করতে দেননি ঠাকুমা। তাঁর বলা কথাগুলোই রতন টাটাকে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। একাধিক মঞ্চে এই কথা স্বীকার করেছেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার। 

5/8

কী বলতেন তাঁর ঠাকুমা! রতন টাটা বলেন, ঠাকুমার সেই কথাগুলো তাঁকে জীবনে সাফল্য পেতে দারুণ সাহায্য করেছে। সেই কথাগুলো মেনে চলেছিলেন বলেই আজ তিনি রতন টাটা।

6/8

এক সাক্ষাত্কারে রতন টাটা বলেছেন, ''বাবা-মার বিবাহবিচ্ছেদের পর জীবনটাই বদলে গিয়েছিল। তখনকার দিনে বিবাহবিচ্ছেদ আজকের মতো সহজ ব্যাপার ছিল না। তার পর আমার মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর স্কুলে বাচ্চারা আমাদের নিয়ে অনেক রকম কথা বলত। সেইসব আজেবাজে কথা শুনে মন খারাপ হত। কখনও তাদেরকে পাল্টা বলার ইচ্ছে হত। কিন্তু ঠাকুমা বলত, মর্যাদা রক্ষাই সব থেকে বড় ব্যাপার।''

7/8

তিনি আরও বলেন, ''কখনও কখনও পরিস্থিতি এমন হত যে আমি চাইলে ঝগড়া করতে পারতাম। অথবা যারা আজেবাজে বলছে তাদের সঙ্গে তর্ক করতে পারতাম। কিন্তু ঠাকুমা শিখিয়েছিল, কখন কথা বলতে হয়। আর কখন চুপচাপ থাকতে হয়! এটা আজীবন মেনে চলেছি। পরিস্থিতি যাই হোক, মর্যাদা রক্ষাই সব থেকে বড় কথা বলে মেনেছি।''

8/8

এর পর রতন টাটা বলেন, ''বাবা চাইত আমি ভায়োলিন শিখি। কিন্তু আমার ভালবাস ছিল পিয়ানোতে। আমি আমেরিকায় পড়তে যেতে চাইতাম। কিন্তু বাবা আমাকে ব্রিটেনে পাঠাতে চেয়েছিল। আমি আর্কিটেক্ট হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাবা চাইত আমি যেন ইঞ্জিনিয়ার হই! একমাত্র ঠাকুমা আমার ইচ্ছের কদর করত। বাবার সঙ্গে এই নিয়ে ঠাকুমাই লড়ত। ঠাকুমা না থাকলে আমি যেটা চাইতাম সেটা করতেই পারতাম না।''