চালক হয়েও লাভ হল না, মাসুদকে জঙ্গি ঘোষণায় রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের পাশে থাকবে সৌদি আরব

Feb 20, 2019, 22:51 PM IST
1/7

পুলওয়ামা হামলার দায় নিয়েছে জইশ-এ-মহম্মদ। এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধান মাসুদ আজহার থাকে পাকিস্তানে। নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, মাসুদ আজহারকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে ইসলামাবাদ। রাষ্ট্রসঙ্ঘে মাসুদকে জঙ্গি ঘোষণার প্রস্তাবের ইতিমধ্যেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্স। এবার সৌদি আরবও ভারতকে সমর্থনের আশ্বাস দিল।   

2/7

সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রী আদেল বিন আহমেদ আল জুবেইর জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদী ও সন্ত্রাসে মদতদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে। যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন ইসলামাবাদ সফরে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, সন্ত্রাসের বিরোধিতা করে সৌদি আরব। 

3/7

রাষ্ট্রসঙ্ঘে মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার প্রস্তাবে সৌদি আরবের সমর্থন মিলবে না বলে জল্পনা রটেছিল। কিন্তু সৌদির বিদেশমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ জঙ্গি হলে তাকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হোক। এটা নিয়ে রাজনীতিকরণের বিরোধী সৌদি আরব। রাজনৈতিক বিরোধীদের নাম তুলে দেওয়া হল, সেটার বিরোধিতা করা হচ্ছে।   

4/7

সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রীর কথায়,''আমার মনে হয়, পাক প্রধানমন্ত্রী ও যুবরাজের যৌথ বিবৃতি দেখে অনেকের মনে হয়েছে, মাসুদ আজহারকে জঙ্গি ঘোষণার বিরোধী সৌদি আরব। তেমনটা কিন্তু নয়। আমাদের স্পষ্ট মত, কোনও ব্যক্তিকে রাজনৈতিক কারণে যেন সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা না করা হয়। আর যৌথ বিবৃতি কোনও এক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে ছিল না। সন্ত্রাসবাদী ও সন্ত্রাসে আর্থিক সাহায্যকারীকেও চিহ্নিত করা হোক''।'

5/7

সৌদির বিদেশমন্ত্রী আরও মনে করেন, ''দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমিত করা দরকার। দুই দেশের সঙ্গে সৌদির দারুণ সম্পর্ক। তারা সৌদিকে পাশে চাইলে অবশ্যই ভেবে দেখা হবে''।   

6/7

দু'দিনের ভারত সফরে এসেছেন সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। তিনি বলেছেন,“আমাদের (মোদী এবং সলমন) সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বের। প্রধানমন্ত্রী মোদী আমার বড় ভাই। তাঁকে দেখে সর্বদাই অনুপ্রেরণা মেলে।” শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে সরাসরি ভারতে পা দেননি সৌদির যুবরাজ। বরং রিয়াধ ফিরে গিয়ে দিল্লিতে এসেছেন। বার্তা স্পষ্ট, ভারতকে চটাতে চায় না তারা।      

7/7

এর আগে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা প্রস্তাব রাষ্ট্রসঙ্ঘে দিয়েছিল ভারত। ওই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল চিন। এবারও তারা একই অবস্থানে অনড়। ইতিমধ্যে ফ্রান্সকে পাশে গিয়েছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও পাশে থাকবে বলেই খবর। তার উপরে পুলওয়ামার ঘটনার পর চিনের উপরে চাপ বেড়েছে বলে মত কূটনৈতিক মহলের একাংশের।