মমতাকে না ডাকায় যাবেন না সুদীপও, ফুলবাগান মেট্রো স্টেশন উদ্বোধন ঘিরে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত

Oct 04, 2020, 12:11 PM IST
1/5

নিজস্ব প্রতিবেদন : সেবার ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন, আর এবার ২৫ বছর পর কলকাতা শহরে আবার পাতাল স্টেশনের উদ্বোধন। কিন্তু দুক্ষেত্রেই পিছু ছাড়ল না বিতর্ক। ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে ফের একবার উস্কে উঠল বিতর্ক। মাথাচাড়া দিল কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত।

2/5

আজ দিল্লির রেল ভবন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফুলবাগান স্টেশনের উদ্বোধন করার কথা রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়েরও। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি!রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিত্বকে কেন ডাকা হয়নি? কেন তাঁকে বাইপাস করা হচ্ছে? এর প্রতিবাদেই আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়।

3/5

যদিও অন্যদিকে তাঁর দলের আরেক মন্ত্রী সাধন পান্ডে জানিয়েছেন যে তিনি অনলাইনে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন। একদিকে যেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না বলে জানিয়েছেন, সেখানে তাঁরই দলের রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সাধন পান্ডে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানোয় স্বভাবতই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মেট্রোর লাইন পরেশ পাল এবং সাধন পান্ডের বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ছে।

4/5

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, যাতে কোনও বাধা-বিঘ্ন ছাড়াই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে পারে, তার জন্য সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৯-এর অগাস্টে যখন বউবাজার বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল, তখনও ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক করেন মেট্রো আধিকারিকদের সঙ্গে। যাতে আবার কাজ শুরু করা যায়, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হন। অথচ আজ তাঁকে বাদ দিয়েই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান! কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রে রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন কিন্তু প্রতি অনুষ্ঠানে ততকালীন রাজ্য পরিবহন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো হত।

5/5

উল্লেখ্য, এর আগের বার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন নিয়েও একই বিতর্ক হয়েছিল। সেবার মেট্রোর উদ্বোধন করতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কেউ সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাননি। সুজিত, কৃষ্ণা কেউই যাননি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় রাজ্য সরকারের তরফে অনুষ্ঠান বয়কট করা হয়। উস্কে ওঠে বিতর্ক। পরে মেট্রোর তরফে নবান্নে চিঠি দেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের তরফে কেউ আর সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেননি।