মেয়ের অন্নপ্রাশন হল না, বাড়ির কাজও অসমাপ্ত! শহিদ সুবোধের জন্য কাঁদছে গোটা গ্রাম

গতকাল দুপুর দুটো নাগাদ প্রথম ফোনটি আসে অনিন্দিতার কাছে। শহিদ সুবোধ ঘোষের স্ত্রী তিনি। প্রাথমিক কিছু খবর জানতে চাওয়া হয় সেনার তরফে। দ্বিতীয়বার ফোন করে জানানো হয়, সুবোধ ঘোষ আর নেই। কার্যত অনিন্দিতার মাথার ওপর যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তখন ভাতের থালা নিয়ে বসেছিলেন তিনি। কী করবেন, কাকে খবরটা জানাবেন, কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। পাশে ঘুমোচ্ছিল একরত্তি ছোট্ট শিশু কন্যা। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অনিন্দিতা। সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে খবর পৌঁছয়।

Nov 14, 2020, 14:25 PM IST

গতকাল দুপুর দুটো নাগাদ প্রথম ফোনটি আসে অনিন্দিতার কাছে। শহিদ সুবোধ ঘোষের স্ত্রী তিনি। প্রাথমিক কিছু খবর জানতে চাওয়া হয় সেনার তরফে। দ্বিতীয়বার ফোন করে জানানো হয়, সুবোধ ঘোষ আর নেই। কার্যত অনিন্দিতার মাথার ওপর যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তখন ভাতের থালা নিয়ে বসেছিলেন তিনি। কী করবেন, কাকে খবরটা জানাবেন, কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না তিনি। পাশে ঘুমোচ্ছিল একরত্তি ছোট্ট শিশু কন্যা। কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অনিন্দিতা। সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে খবর পৌঁছয়।

1/5

2/5

সুবোধের মা শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন। বাসন্তী দেবী এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তাঁর ছেলে আর তাঁকে মা বলে ডাকবে না। বাবা গৌরঙ্গ ঘোষ অনেক কষ্ট করে ছেলেকে বড় করেছিলেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন সুবোধ। ছেলেকে হারিয়ে বাবাও শোকে স্তব্ধ।   

3/5

ডিসেম্বর মাসেই বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছিলেন সুবোধ। তার আগেই তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন। তবে কফিনবন্দি হয়ে। ছোট্ট মেয়ের আর অন্নপ্রাশন দেওয়া হল না সুবোধের। অসমাপ্ত রয়ে গেল বাড়ি তৈরির কাজ।   

4/5

রাজস্থানের জয়সলমীরে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিএসএফ-এর ছাউনিতে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। পাক সেনার কাপুরুষোচিত হামলায় ভারতীয় সেনার দুজন জওয়ানের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন তিনি। দীপাবলির উত্সবের মাঝে নদীয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরে যেন অন্ধাকার আচ্ছন্ন।   

5/5

রঘুনাথপুর গ্রামেই কেটেছে সুবোধের ছোটবেলা। পড়াশোনা, বন্ধু-বান্ধব সবই এই গ্রামে। এমন দীপাবলি রঘুনাথপুর গ্রামের মানুষজনের কাছে আসবে তা বিশ্বাস করতে পারেননি গ্রামবাসীরা। এবারের দীপাবলিতে গ্রাম অন্ধকারই থাকবে। মন্ডপে ঠাকুর আর আনা হবে না। বাজবে না কোনও ধরনের বাজনা। গ্রামের মানুষের একটাই আক্ষেপ, ভারত-পাক যুদ্ধ কেন বন্ধ হয় না! শেষবারের মতো শহিদ সুবোধকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত গোটা রঘুনাথপুর গ্রাম।