কুল খেতে নেই সরস্বতী পুজোর আগে, পাপ দেন তিনি, কিন্তু আসল কারণ কী?
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে পালিয়ে যায় বিদ্যা। এমন কী দেবী সরস্বতী অভিমান করেন বিদ্যার্থীদের উপর। সরস্বতী পুজোর আগে কুলে কামড় বসালেই তাদের বিদ্যা কেড়ে নেন তিনি। মুখস্ত পড়াও দেন ভুলিয়ে।
শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় লিখে আসা সঠিক উত্তরকে ভুল করে দেন তিনি। সোজা অঙ্ক কষার পর সংখ্যাও বদলে দেন নাকি! এই বিশ্বাসে বেড়ে ওঠে খুদেরা। মূলত, এই বিশ্বাস বাঙালি ছাত্রছাত্রীর মধ্যেই বেশি দেখা যায়। কিন্তু, আসল সত্য কী? কোন বৈজ্ঞানিক কারণকে দৃঢ় করার জন্য এই বিশ্বাসের প্রলেপ দেওয়া হয়?
সরস্বতীর মূল প্রসাদ কুল। অন্যদিকে শীতের ফল কুল। সরস্বতী পুজোর প্রসাদে নারকেল ও টোপা কুল দেওয়া হয়। তাই বলা হয়, গাছের প্রথম ফলটা দেওয়া হবে সরবস্বতীকে। এতেই তিনি তুষ্ট হন। তাই সরস্বতীকে প্রথম কুল উৎসর্গ করার পরই ছাত্র ছাত্রীরা খেতে পারবেন।
কিন্তু বৈজ্ঞানিক কারণ বলছে, কুল খেলে পেট ব্যাথা হতে পারে। তাই সুস্বাদু এই ফল খাওয়াতে লাগাম টানতেই এই বিশ্বাসের প্রলেপ। এই সময় জ্বর সর্দি কাশির প্রকোপ বাড়ে। আর অন্যদিকে সরস্বতীর পুজোর আগের সময়ে টক ও কাঁচা থাকে কুল।
যা গলা, পেট ও দাঁতের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু সরস্বতীর পুজোর সময় কুল পেকে যায়। তখনই একমাত্র খাওয়ার উপযোগী। সরস্বতী পুজো চলে যাওয়ার পর খুব বেশি কুল পাওয়া যায় না বাজারে। বিশেষ করে একেবারে কমে যায় টোপা কুল। কারণ, সে সময় সম্পূর্ণ পেকে যায়। কাজেই, সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে সমস্যা হয় শরীরে। বিদ্যায় তার প্রভাব পড়ে না।