1/5
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইন্টারনেট ব্যবহার মানেই সিংহভাগই সোশ্যাল মিডিয়া। প্রতি মিনিটে মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে মানুষ। শেয়ার করা কিছু তথ্য-ছবি ঝড়ের গতিতে বিশ্বজুড়ে পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের কাছে। শুধুমাত্র একটা ক্লিকে। কথোকথন, নতুন আলাপচারিতা সেরে ফেলার জন্য একেবারে আদর্শ ময়দান সোশ্যাল মিডিয়া। অদ্ভুতভাবে একাংশ অজান্তেই ভরসার বীজ পুতে ফেলেন সেখানে। যার ফলে অনেকেই বিপদে পড়ছেন, অনেকের কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাচ্ছে বিপদ, আবার সুখে সংসারও পেতে ফেলেছেন অনেকে।
2/5
যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া ময়দানে বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁরা অনেকে ফেক প্রোফাইলকে সত্যি ভেবে অগাধ বিশ্বাস করে ফেলছেন। দেখা গিয়েছে, যৌন হেনস্তার শিকার, অনলাইন প্রতারণা সহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হয়রানির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁদের। বর্তমানে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় কেলেঙ্কারি হল অনলাইনে নকল প্রোফাইলের বাড়বাড়ন্ত। নিজের পরিচয় লুকিয়ে, মানুষ ঠকানোর কাজে তাঁরা সিদ্ধহস্ত।
photos
TRENDING NOW
3/5
4/5
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেহুতু ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া থাকে, তাই সাইবার জালিয়াতদের আরও বেশি সুবিধা হয় ফেক প্রোফাইল তৈরি করতে। এই প্রসঙ্গে, পুরোনো একটি মামলার কথা উল্লেখ করতে হয়। সালটি ছিল ২০১১। পুলিসের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে প্রথম অভিযোগ। অবশেষে সেই মামলার সমাধান হয় চলতি মাসে। ফেক প্রোফাইল যিনি তৈরি করেছেন তিনি অধরা ছিলেন এতদিন। মামলায় ফেক প্রোফাইলের শিকার হয়েছেন এক মহিলা, তাও আবার বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দ্বারা। এক্ষেত্রে বান্ধবীর হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একটি ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করেন বন্ধু। যার ফেক প্রোফাইল তৈরি করেছিলেন, সে সময় তিনি ছিলেন একজন আইনের ছাত্রী। ফেক প্রোফাইলের মাধ্যমে যৌন অনুগ্রহের জন্য অনুরোধ এবং অনলাইনে মানহানিমূলক ছবি পোস্ট করতেন ওই বন্ধু। সমস্ত ছবি নিজ হাতেই তৈরি করতেন তিনি।
5/5
থানায় অভিযোগ জানান ওই ছাত্রীর বাবা। তারপর ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করেন তিনি। কিন্তু, কে রয়েছে এই প্রোফাইলের পিছনে, তা জানার জন্য পুলিসের হাত থেকে মামলা চলে যায় CID-র হাতে। তারপর ২০১৬ সালে মামলা হাতে নেন সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ বিভাস চ্যাটার্জি। প্রথম থেকে শুরু করেন তদন্ত। তিনি অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হার্ড ড্রাইভটি পুনরায় পরীক্ষার করেন। সেখান থেকে পাওয়া কিছু তথ্য ও ছবি হাতে আসে তাঁর। যেগুলি জাল অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। ১০ বছর সেই মামলার রায় দিল আলিপুর কোর্ট। ৬৬এ, ৬৬ সি, ৬৬ ডি এবং ৬৭এ ধারায় শাস্তি দেওয়া হল অভিযুক্তকে। ১.৫ লাখ টাকা জরিমানার সঙ্গে একবছরের জন্য কারাগার বাস।
photos