'দলে চালকের আসনে নেই নেত্রী,' TMC থেকে ইস্তফা বিধায়ক মিহির গোস্বামীর

Nov 27, 2020, 19:06 PM IST
1/5

নিজস্ব প্রতিবেদন: আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছাড়লেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। দলের প্রাথমিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। বিবৃতিতে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক জানান, ২২ বছর ধরে দলের একনিষ্ঠ কর্মী। তবে জেলায় বারবার অপমানিত হয়েছেন। দলনেত্রীকে জানিয়েও পরিস্থিতির বদল হয়নি। গত কয়েকদিন ধরে বেসুরো গাইছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। তাঁর বাড়িতে বিজয়া সারতে যান সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। আরও তীব্র হয় জল্পনা। এরপর ফেসবুকে একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মিহির।  

2/5

গতকাল, বৃহস্পতিবার দল ছাড়ার কথা ফেসবুকে জানিয়েছিলেন মিহির গোস্বামী। শুক্রবার সকালে দিল্লি উড়ে যান তিনি। বিমানবন্দরে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এরপরই স্পষ্ট হয়, মিহিরের তৃণমূল ছাড়া সময়ের অপেক্ষা। 

3/5

বিকেলে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন মিহির গোস্বামী। বিবৃতিতে দলের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ২২ বছরের সম্পর্ক কথা উল্লেখ করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মিহির বলেছেন,'জেলায় জেলায় বারবার অপমানিত হয়েছি। দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত জুগিয়ে গিয়েছে। দলনেত্রীকে সে সব কথা জানিয়েও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার সময়েও দেখেছি নেত্রী একইরকমের আশ্চর্য নীরবতা পালন করেছেন। সম্ভবত তিরস্কার-বহিস্কারের ক্ষমতাও তাঁর লুপ্ত হয়েছে। দলের চালক সিটে তিনি আর নেই। আজ এই তৃণমূল দলের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও ইস্তফা দিলাম।'

4/5

পরে মিহির গোস্বামী বলেন,'৩ অক্টোবর থেকে সাংবাদিক বৈঠক ও সোশ্যালে মিডিয়ায় বারবার বলেছি, তাও সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছ থেকে সাড়া পাইনি। দলের কাছে আমি ব্রাত্য। সম্ভবত আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। আর দলে থাকার মানে হয় না। অনেক চিন্তা করেছি। পরগাছাদের ঘেরাটোপে থেকে নেত্রী নিজেও প্রয়োজন উপলব্ধি করেননি। প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করলাম।' 

5/5

এ দিন দুপুরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিকেলে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।