‘এটাই অমিতাভ স্যারের কোম্পানি ছিল!’ কলকাতায় 'ভূতের বাড়ি'তে ভিকি কৌশল
Feb 18, 2020, 19:28 PM IST
1/10
শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়: কলকাতার দক্ষিণ দাঁড়ির একটা পুরনো পরিত্যক্ত বাড়ি। গেট দিয়ে ঢুকেই পুরনো ফ্যাক্টরি শেডে চোখ আটকাল। সঙ্গী অরিন্দমকে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি কোনও কারখানা ছিল? তার মুখেই শুনলাম, এটাই ছিল বার্ন ফ্যাক্টরি।
2/10
বার্ন ফ্যাক্টরি মানে যেখানে অমিতাভ বচ্চন চাকরি করতেন! কলকাতায় থাকাকালীন এই বার্ন কোম্পানিতেই চাকরি নিয়েছিলেন বিগ বি। সামান্য কেরানির চাকরি, তবে মন বসত না। মাত্র ৪৮০ টাকা মাস মাইনে। এর মধ্যে ৩৫০ টাকা যেত বাড়ি ভাড়ায়, খাবারের খরচ আলাদা। ভিক্টোরিয়ার বাইরে ২ টাকার ফুচকাই ভরসা।
photos
TRENDING NOW
3/10
নাটকের দলে অভিনয়ের কথা ভাবতেন অমিতাভ। পরে যোগদানও করেন অ্যামেচার থিয়েটার দলে। বাংলা তথা ভারতীয় ছবিতেও তখন এক নব্যযুগ। ১৯৬৭তে বের হল সত্যজিত্ রায়ের ছবি মহানগর। পোস্টার পড়ল জয়া ভাদুড়ির। তারপরেই হঠাত্ সিদ্ধান্ত নিয়ে চলে গেলেন দিল্লিতে।
4/10
সেই বার্ন কোম্পানির কারখানার এই ভগ্নদশা দেখে বেশ খানিকটা চমকেই উঠেছিলাম।
5/10
আর কিছুটা পরেই এখানে আসবেন বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ভিকি কৌশল। তাঁর ‘ভূত-দ্য হন্টেড শিপ’ ছবির মুক্তি ২১ ফেব্রুয়ারি। প্রযোজনা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, কলকাতার একটা ভূতের বাড়িতে যেতে চান তিনি। বাংলার ভূত সাহিত্য যেখানে এত সমৃদ্ধ, সেখানে কলকাতায় এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া তেমন মুশকিলের ছিল না।
6/10
তবে জি ২৪ ঘণ্টা আরও এক ধাপ এগিয়ে জোগাড় করল ভূত-ধরাদের। এই গোস্ট-ক্যাচারদের সঙ্গে আড্ডায় মাতলেন ভিকি। তাঁর ভূতের ভয় আছে, জানালেন অভিনেতা।
7/10
কীভাবে ম্যগনেটিক ফিল্ড দিয়ে আন-আইডেন্টিফায়েড এনার্জি জানতে পারা যায়, তা নিয়ে বেশ মন দিয়ে দেবরাজ-ইশিতা-অরিন্দমদের সঙ্গে কথা বললেন ভিকি। জানালেন, তাঁর ছবিতেও এই গোস্ট-ক্যাচারদের আদলে এক প্রফেসরের চরিত্র আছে। অভিনয় করেছেন আশুতোষ রানা।
8/10
মুম্বইয়ের জুহু বিচে হঠাতই ছিটকে এসে আটকে পড়ে একটা জাহাজ। সেই জাহাজে কি কোনও প্যারা-নর্মাল কাণ্ড কারখানা চলছে। সেই জাহাজে কীভাবেই বা অটকে পড়ে এক দম্পতি? ভূতে তিনি বিশ্বাস করেন ঠিকই, তবে ছবির শুটিংয়ের পোস্ট প্রোডাকশনের উত্কর্ষই এই ছবির সাফল্যের মূল কারণ হবে, বলে জানালেন অভিনেতা।
9/10
প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই বাড়ির এক অন্য ইতিহাসও আছে। এক রাজা আর তার বারমহলের গল্প জড়িয়ে আছে এই বাড়ির সঙ্গে। একের পর এক নর্তকী আসতেন, রাজা তাঁদের সঙ্গে কাজ মিটে যাওয়ার পর, নির্দ্বিধায় খুন করিয়ে নাকি এই বাড়ির নিচে পুঁতে দিতেন।
10/10
সেই অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে বেড়ায় এই বাড়িতে, এমনটা শুনে একটু ঘাবড়েই গেলেন ভিকি।যাওয়ার আগে বলে গেলেন, অমিতাভ স্যার সত্যিই আসতেন এই বাড়িতে, ভয় করত না!