World Music Day: বাংলার সঙ্গীতস্রোতে যেন এসে মিশেছিল বিশ্বসঙ্গীতের ধারা

বাংলা দেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলার আকাশে-বাতাসে সুর, বাংলার রৌদ্র-ছায়ায় গান।

| Jun 21, 2022, 17:44 PM IST

বাংলা দেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলার আকাশে-বাতাসে সুর, বাংলার রৌদ্র-ছায়ায় গান। বাংলার যাঁরা কবি-লেখক তাঁরা অধিকাংশই সঙ্গীতপ্রেমী, সঙ্গীতবোদ্ধা। বাংলার কবি-লেখকদের অনেকেই আবার পুরোদস্তুর গীতিকার-সঙ্গীতকার। বঙ্কিমচন্দ্র থেকে তারাশঙ্কর, রবীন্দ্র-অগ্রজ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে একেবারে দ্বিজেন্দ্রলাল-পুত্র দিলীপকুমার রায়। বঙ্কিম সঙ্গীতের বড় বোদ্ধা ছিলেন। নিজেও সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন, গান রচনাও করেছেন। আবার তারাশঙ্কর মূলত গদ্যকার হলেও প্রচুর সঙ্গীত রচনা করেছেন। এঁরা প্রত্যেকেই পুরোদস্তুর লেখক। ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, কবি, প্রবন্ধকার ইত্যাদি নানা পরিচয়ের পাশাপাশি এঁদের অনেকেই পুরোদস্তুর সঙ্গীতকারও। 

1/6

রামনিধি গুপ্ত

যেমন রামনিধি গুপ্ত। তাঁর হাতেই বাংলা কাব্যগীতির জন্ম। কুমোরটুলির মানুষ নানা জায়গায় চাকরি-বাকরি করে বেড়িয়েছেন। একসময় সব ছেড়ে দিয়ে সঙ্গীতেই নিজেকে নিবেদন করেন। তাঁর হাতে জন্ম নেয় টপ্পা। বাংলা গানের ধাঁচ ভাষায় ও ভঙ্গিতে আধুনিক হয় তাঁরই হাতে।   

2/6

রবীন্দ্রগান

ঠাকুরবাড়ি ছিল আধুনিক গানের মস্ত বড় জায়গা। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আধুনিক মন বাংলা গান তৈরির ক্ষেত্রে দারুণ প্রতিভার ছাপ রেখেছিলেন। যদিও পরে তাঁর কনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীতরচনাতে উত্তুঙ্গ শিখর স্পর্শ করেছিলেন। গোটা একটা জাতির মনোভাবনা রুচি রোম্যান্টিকতা-- সব তাঁর গানে দ্যোতিত। অথচ তিনি নিছক গীতিকার নন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

3/6

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ছিলেন নাট্যকার। নানা রসের সার্থক নাটক তিনি রচনা করেছিলেন। কিন্তু নাটকের প্রয়োজনে যখন তিনি গান রচনায় হাত দিলেন তখন সেটা একটা বিশেষ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াল। আজ মানুষ তাঁকে গানের মধ্যে দিয়েই মূলত চেনে। 

4/6

অতুলপ্রসাদী

পেশায় আইনজীবী অতুলপ্রসাদ সেন সারাজীবন অত্যন্ত খ্যাতি ও যশের সঙ্গে আইন ব্যবসা করে গিয়েছেন। কিন্তু এর পাশাপাশি তিনি যে সঙ্গীত সৃষ্টি করেছেন তার কোনও তুলনাই হয় না।    

5/6

রজনীকান্ত সেন

ছিলেন রজনীকান্ত সেন। কবি ও গীতিকার। আজ অবশ্য তাঁর করুণ রসের গানগুলিই বাঙালিকে মুগ্ধ করে।  

6/6

সঙ্গীতস্রষ্টা নজরুল

নজরুল ইসলাম কবি, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, অভিনেতা, সঙ্গীত পরিচালক। কিন্তু তাঁর এ হেন বিচিত্র পরিচয়মালা সম্ভবত একটি পরিচয়েই ঢাকা পড়ে গিয়েছে। সেটি হল সঙ্গীতস্রষ্টা নজরুল। নজরুলের গান বাংলার সম্পদ।