@এডিটর
পুজো মানেই ছুটি। পুজো মানেই নতুন জুতো। পুজো মানেই হই-হুল্লোড়ের কম্বো মীল। ছোটবেলার পুজোর ফ্লেভার ধীরে ধীরে বদলে যায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। এক আনন্দকে ঠেলে সরিয়ে দেয় অন্য ধরনের আনন্দ। কিন্তু বদলায় না পুজোবার্ষিকী পড়ার মেজাজ। ছোটবেলায় তাকিয়ে থাকতাম সন্তু-কাকাবাবু-নন্টে-ফন্টেরা কখন হকার কাকুর হাত ধরে বাড়ি পৌঁছবে। তারপরেই শুরু গোগ্রাসে সেগুলো গেলা। সেই মোটা মোটা বইগুলোর হাত ধরেই সুনীল গাঙ্গুলী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে পরিচয়। অজান্তেই বাঁটুল দ্য গ্রেট, হাঁদা ভোঁদা বা টেনিদা হয়ে উঠেছিল পরিবারের একান্ত আপন। যৌবনে পৌঁছে নতুন আলাপ নতুন লেখকদের সঙ্গে। যখন টেলিভিশন ছিল না, এই পুজো বার্ষিকীগুলোই ছিল মনের জানালা, সারা বছরের সঙ্গী, বারবার পড়ার প্রিয় গল্প উপন্যাস।
টেলিভিশন আর ডট কমের দাপটে সেই সুখ নাকি লাটে উঠতে বসেছে। হয়ত তা ঠিক বা পুরোটাই ভুল। তর্কে যাওয়া মানে সময় নষ্ট। তন্দুরি চিকেন যদি ভাল হয়, মাঞ্চুরিয়ান চিকেনই বা কম কিসের। ল্যাপটপে বা মোবাইলে শারদীয়া সংখ্যা পড়ার এক ভিন্ন মজা। চেখে নিতে দোষ কি। ২৪ ঘণ্টার ওয়েব টিমের তরুণতুর্কিরা খুব যত্ন করে বানিয়েছে শারদীয়া ডট কম। নানা স্বাদের সম্ভার নিয়ে হাজির করেছে আপনাদের সামনে। আমার পড়তে ভাল লেগেছে। আশা করি আপনাদেরও লাগবে।
-অনির্বাণ চৌধুরী।