কোচ হিসেবে এই পাঁচটি কাজ রবি শাস্ত্রীর জন্য বেশ কঠিন!
ভারতীয় দলের 'অন্দরমহলে' ছিলেন বহু আগে থেকেই, কখনও ম্যানেজমেন্টে তো কখনও একেবারে টিম ডিরেক্টর। গ্রেগ জামানার পর ভারতীয় ক্রিকেটকে কোমর সোজা করে দাঁড় করাতে শাস্ত্রীর সাহায্যই তো নিয়েছিল বিসিসিআই। এবার আরও একবার তার ওপর ভরসা রাখল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। অনেকের অনিচ্ছা সত্যেও 'বিরাট বাজি'তে দলের কোচ রবি শাস্ত্রীই। সঙ্গে অবশ্য জাহির খান আর রাহুল দ্রাবিড়কেও কোচিং স্টাফ হিসেবে জুড়ে দিয়েছে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি। এখন ভারত গোটা বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল। এই দলে আছেন বিরাট, ধোনি, যুবরাজ, জাদেজা, অশ্বিনদের মত নক্ষত্ররা। ওডিআই আর টি-টোয়েন্টিতেও ভাল ফল করছে বিরাট ব্রিগেড। তাহলে কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর ভূমিকা কী হবে? অবশ্যই দলের সাফল্যকেই নজরে রাখবেন নতুন কোচ। তিনি নিজেও বলছেন, "এই ভারতীয় দল সর্ব সময়ের সেরা হতে পারে"। অধিনায়ক বিরাটকে নিয়ে নতুন কোচের মন্তব্য, "আগামী ৫ বছর ক্রিকেট বিশ্ব দেখবে আসল বিরাটকে"। গগণচুম্বী আত্মবিশ্বাস আর অসামান্য বাকপটু রবিকে নিয়ে তবু সংশয় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে! ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রবি শাস্ত্রীর কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে পাঁচটি বিষয়! কী কী সেগুলো? জেনে নিন-
ওয়েব ডেস্ক: ভারতীয় দলের 'অন্দরমহলে' ছিলেন বহু আগে থেকেই, কখনও ম্যানেজমেন্টে তো কখনও একেবারে টিম ডিরেক্টর। গ্রেগ জামানার পর ভারতীয় ক্রিকেটকে কোমর সোজা করে দাঁড় করাতে শাস্ত্রীর সাহায্যই তো নিয়েছিল বিসিসিআই। এবার আরও একবার তার ওপর ভরসা রাখল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। অনেকের অনিচ্ছা সত্যেও 'বিরাট বাজি'তে দলের কোচ রবি শাস্ত্রীই। সঙ্গে অবশ্য জাহির খান আর রাহুল দ্রাবিড়কেও কোচিং স্টাফ হিসেবে জুড়ে দিয়েছে ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি। এখন ভারত গোটা বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল। এই দলে আছেন বিরাট, ধোনি, যুবরাজ, জাদেজা, অশ্বিনদের মত নক্ষত্ররা। ওডিআই আর টি-টোয়েন্টিতেও ভাল ফল করছে বিরাট ব্রিগেড। তাহলে কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর ভূমিকা কী হবে? অবশ্যই দলের সাফল্যকেই নজরে রাখবেন নতুন কোচ। তিনি নিজেও বলছেন, "এই ভারতীয় দল সর্ব সময়ের সেরা হতে পারে"। অধিনায়ক বিরাটকে নিয়ে নতুন কোচের মন্তব্য, "আগামী ৫ বছর ক্রিকেট বিশ্ব দেখবে আসল বিরাটকে"। গগণচুম্বী আত্মবিশ্বাস আর অসামান্য বাকপটু রবিকে নিয়ে তবু সংশয় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে! ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন রবি শাস্ত্রীর কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ হতে পারে পাঁচটি বিষয়! কী কী সেগুলো? জেনে নিন-
> ভারতীয় দলে ধোনি আর যুবরাজের ভূমিকা কী হবে?
মহেন্দ্র সিং ধোনি। দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। বিশ্বের বেস্ট ফিনিশার। ভারতের সর্বকালের সেরা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানও তিনি। এখন দলের সবথেকে সিনিয়র দুই ক্রিকেটারের মধ্যে তিনি একজন। ২টি বিশ্বকাপ সহ মোট তিনটি আইসিসি ট্রফি যার ক্যাবিনেটে সেই ধোনিকে নিয়েই প্রথম চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে কোচ শাস্ত্রীকে। ধোনিকে ব্যাটিং অর্ডারে কোথায় রাখলে দল ভালো ফল পাবে তা ঠিক করতে হবে কোচ শাস্ত্রীকেই। ধোনি জামানার পর নতুনদের অগ্রাধিকার নাকি উইকেটের পিছনে দাঁড়াবেন 'বুড়ো কার্তিক'ই, সেদিকেও নজর রাখতে হবে তাঁকে। যুবরাজকে নিয়েই বা কী করবেন? ব্যাটে রান নেই। বোলিংয়েও আগের মত ধার নেই। অলরাউন্ডার হিসেবে হার্দিকের মত হার্ড হিটার যেভাবে উঠে আসছেন সেখানে 'বুড়ো ঘোরা' নিয়ে ভারত এগোবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুব শীঘ্রই খুঁজতে হবে রবিকে।
> বিদেশের মাটিতে দলের পারফর্ম্যান্সে উন্নতি
দেশের মাটিতে বিরাটরা এক কথায় অপরাজেয়। নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া, একের পর এক সিরিজ জয়। সেসময় যদিও কোচ ছিলেন অনিল কুম্বলে। এখন সেই স্থানে রবি শাস্ত্রী। বিদেশের মাটিতে এখনও তেমন পরীক্ষা দেয়নি এই 'বিরাটের নেতৃত্বাধীন ভারত'। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া আর কোথাও টেস্টে বড় জয় আসেনি ভারতের। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় শেষ কবে টেস্ট জিতেছে ভারত, গুগুল করে খুঁজে বার করতে হবে। বাউন্সি পিচ, গতি আর বাইরের পরিবেশে বিরাটদের সিরিজ জয়ের জন্য সব থেকে বেশি খাটতে হবে নতুন কোচকে। কাজটা বেশ কঠিন।
> বিরাটকে হ্যান্ডেল করা
সাব হেড পরে হতবাক হওয়ার কারণ নেই। মনে হচ্ছে তো, বিরাটই তো শাস্ত্রীর কোচ পদে আসীন হওয়ার নেপথ্য নায়ক। তাহলে এই প্রশ্ন আসছে কেন? অতীতটা অবশ্যই মনে করে দেখতে হবে একবার। অনিল কুম্বলে যখন কোচ হিসেবে এসেছিলেন, বিরাটের একটা টুইট সবার হৃদয় উদ্বেলিত করে দিয়েছিল। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সম্পর্ক 'টুকরো টুকরো' হতে শুরু করে। অবশেষে কোচ পদ থেকে অনিল কুম্বলের পদত্যাগ, সঙ্গে বিরাটের সেই টুইট ডিলিট। তখন অনেকেই মজা করে বলেছিলেন, 'বিরাট কো ইতনা গুসসা কিউ আতা হ্যায়'? এই রাগ কিন্তু সামলাতে হবে রবি শাস্ত্রীকেও।
> 'গুগলি' সামলাতে হবেই রবি শাস্ত্রীকে
বিশ্বের এক এবং দুই নম্বর টেস্ট বোলারদের বসিয়ে রেখে তরুণদের সুযোগ দেওয়া, এটা নিয়েই তো কোহলি আর কুম্বলের বিবাদের শুরু। অশ্বিন আর জাদেজার মত স্পিন অ্যাটাককে বাদ দিয়ে চায়নাম্যান কুলদীপ যাদবকে দলের ফ্রন্ট লাইনে নিয়ে আসা। ভীষণ কঠিন কাজ। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের ভারসাম্য তৈরি করেই এগিয়ে যাবে ভারত, সেখানে কোনটা কম কোনটা বেশি, এই মাপতোলে বিব্রত হলে চলবে না। বোলিং অস্ত্রকে কোথায় কখন ব্যবহার করবেন, এটা রবি শাস্ত্রীর কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে, মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।
> ২০১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি
যত কর্মযজ্ঞ চলছে, সেটা কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেই। ব্রিটিশ পাড়ায় দাদাগিরি করে কপিল দেবদের তৈরি করা ইতিহাস আরও একবার রচনা করতেই কিন্তু গোটা পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। তাই ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য সেরা প্রস্তুতির সঙ্গে ট্রফি জয়ের দিকেই আল্টিমেট নজর থাকবে রবি শাস্ত্রীর। কাজটা বেশ কঠিন। বেশ কঠিন।