ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্নভঙ্গ-- তিন গোলে হেরে বিদায় সেমিফাইনাল থেকে

ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাব্য একাদশ-- অভিজিত্‍ মণ্ডল, অভিষেক, অর্ণব মণ্ডল, ওপারা, সৌমিক দে, জোয়াকিম, মেহতাব হোসেন, লালরানডিকা, লোবো, মোগা, চিডি। ৫-৫ ছকে খেলাতে পারেন ফালোপা।

Updated By: Oct 22, 2013, 03:28 PM IST

ইস্টবেঙ্গল (০) কুয়েত এসসি (৩)
স্বপ্নভঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের। এএফসি কাপ থেকে ছিটকে গেল লাল-হলুদ। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের প্রথমার্ধে যুবভারতীতে দুরন্ত লড়াই করেও শূন্য-৩ গোলে হারতে হল মেহতাবদের। ঘরের মাঠে ০-২ গোলে কুয়েতের দলটিকে হারাতে পারলেই প্রথম ভারতীয় দল হিসাবে এএফসি-র ফাইনালে চলে যেত ইস্টবেঙ্গল।
প্রথম ৪০ মিনিট দুরন্ত লড়াই করেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। কিন্তু বিরতির আগে দু মিনিটের ব্যবধানে কুয়েতের দলটির জোড়া গোল ব্যকফুটে ঠেলে দেয় চিড্ডিকে। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গোল করেন রোজারিও আর হাদি কামিজ। গোল করার পরপরই লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কামিজ। বিপক্ষ দল দশ জনে হয়ে যাওয়ার অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ফ্যালোপার দল।
নিচে পড়ে নিন ম্যাচে কী কী হল
যুবভারতীতে এখন স্বপ্নভঙ্গের বেদনা। কোচ ফালোপার ম্যাচ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠল।
খেলা শেষ। ০-৩ গোলে হেরে বিদায় সেমিফাইনাল থেকে বিদায় ইস্টবেঙ্গল।
৮৭ মিনিট- স্বপ্নভঙ্গ। ০-৩। ইস্টবেঙ্গলের কফিনে শেষ পেরেক। ফাওয়াদ আওয়াত বেশ কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করলেন। সব আশা শেষ।
৮৪ মিনিট- ম্যাচে শেষ পরিবর্তন ফালোপার। লোবোকে তুলে নিয়ে নামালেন টুলুঙ্গাকে। যুবভারতী থেকে দর্শকরা বেরোতে শুরু করেছেন।

হাতে আর দশ মিনিট আশা কার্যত শেষ। দশ মিনিটে চার গোল দিয়ে দেবে ইস্টবেঙ্গল এমন আশা আর কোনও অতি বড় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকও করছেন না।

৭৬ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল আবার গোল হজম করতে পারত। ভাগ্য বাঁচিয়ে দিল।
ইস্টবেঙ্গল দলে ফের পরিবর্তন- জোয়াকিমের জায়গায় নামলেন রবার্ট।
৬৫ মিনিট- লাল কার্ড দেখলেন অর্ণব মণ্ডল। সংখ্যাধিক্যে এগিয়ে থাকর সুযোগও হারাল ইস্টবেঙ্গল। আশার বাতি ক্রমশ নিভতে শুরু করেছে। তবে স্টেডিয়াম ছেড়ে যাচ্ছেন না অনেকেই।
৬০ মিনিট-
গোল মিস লোবোর। তবে চেষ্টাটা দারুণ ছিল।
৫৩ মিনিট-দলে প্রথম পরিবর্তন আনলেন কোচ ফালোপা। মোগার পরিবর্তে নামলেন বলজিত। এই মোগার ওপরেই সবচেয়ে বেশি আস্থা রেখেছিলেন কোচ।
হাফটাইমের পর ফের খেলা শুরু। স্টেডিয়াম বেশ চুপচাপ। কোচ ফালোপা চিডির কানে কিছু একটা বললেন। স্কোরবোর্ড দেখে মনে হচ্ছে লাল হলুদ শিবিরের এখন ভগবানই ভরসা। ইস্টবেঙ্গলের চাই ৪টে গোল।
বিরতির বাঁশি বাজালেন রেফারি। ০-২ পিছনে খেকে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা ড্রেসিংরুমে যাচ্ছেন।
ইস্টবেঙ্গলকে এখনও অন্তত ৪টা গোল দিতে হবে তাহলে টাইব্রেকার, তারপর ফাইনাল। কাজটা খুববব শক্ত।
এখনও সম্ভব! নিচে লিখুন আপনার মতামত।
দু মিনিট অতিরিক্ত সময় দিলেন রেফারি।
৪৫ মিনিট- লাল কার্ড দেখলেন কুয়েত এসসি-র গোলদাতা খামেস। কোনও
কারণ ছাড়াই উগা ওপারাকে মারলেন খামেস। দশ জন হয়ে গেল কুয়েত এসসি। তবে ইস্টবেঙ্গলকে এখনও অন্তত ৪টা গোল দিতে হবে তাহলে টাইব্রেকার, তারপর ফাইনাল। কাজটা খুববব শক্ত।
৪৪ মিনিট- স্বপ্নভঙ্গ। ০-২। ফের গোল হজম করল ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীর মন খারাপ। স্টেডিয়ামে পিন পড়লেও আওয়াজ শুনতে পাওয়া যাবে। গোল করলেন আবদুলহাদি খামিস।
৪২ মিনিট- হতাশাশাশা-- গোল করে ফেলল কুয়েত এসসি। ফাইনালে ওঠার কাজটা ইস্টবেঙ্গলের আরও কঠিন হল। গোল করলেন রোগারনোহ।

৩৫ মিনিট- এখন গোল হয়নি ঠিকই। কিন্তু কিছু একটা হওয়ার অপেক্ষায় গোটা দেশ, গোটা স্টেডিয়াম। এখন স্টেডিয়াম কিছুটা থম মেরে আছে। তবে চিডিদের পায়ে বল পড়লেই গগণভেদি চিত্‍কার শোনা যাচ্ছে।
২৯ মিনিট-ফ্রিকিক ওয়ালে ধাক্কা লাগল বল।
বিপদজনক জায়গা থেকে ফ্রি কিক পেল কুয়েত এসসি।
২৮ মিনিট- কাউন্টার অ্যাটাক কুয়েত এসসির। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স ছন্নছাড়া দেখাচ্ছে। কুয়েত এসসির ফুটবলররা ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। আবার ত্রাতার ভূমিকায় সেই অভিজিত্‍ মণ্ডল।
২৫ মিনিট- এ কি!! মোগা কী করলেন। ওয়ান ইজ টু ওয়ান সিচুয়েশনে গোল মিস করলেন মোগা। লাল হলুদের এখন দরকার ভাগ্য। লেটস প্রে
২৩ মিনিট- ভাল জায়গা থেকে ফ্রি কিক পেল ইস্টবেঙ্গল। সৌমিক মিস করলেন। 
২০ মিনিট- ফ্লাডলাইট জ্বলে গেল। যুবভারতীর আলোয় লাল হলুদ ভাগ্য ফেরে কি না তারই অপেক্ষা
১৫ মিনিট- এবার ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ। চিডি দারুণ একটা বল বাড়ালেন জোয়াকিম কে... এ কি!!! জোয়াকিম এ কি করলেন!! মিস। কাম অন ইস্টবেঙ্গল।
১২ মিনিট- অবধারিত গোল বাঁচালেন অভিজিত্‍ মণ্ডল। (আপনার কি মনে হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গ পারবে তো! নিচে লিখুন)

১১ মিনিট- কুয়েতের স্ট্রাইকারকে ফেলে দেওয়ায় হলুদ কার্ড দেখলেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার অভিজিত্‍ মণ্ডল।
৫ মিনিট-
চিডি বেশ ভাল খেলছেন। উগা ওপারাকে দেখেও মনে হচ্ছে ডেম্পো ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলেছেন।
 
২ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের দারুণ শুরু। ঘরের মাঠে চনমনে দেখাচ্ছে চিডিদের। আক্রমণের ঢেউ তুলছেন লোবো, চিডি।
রেফারি বাঁশি বাজালেন শুরু হল ম্যাচ। মনে রাখবেন ২-০ গোলে জিতলে তবেই ফাইনালে যাবে ইস্টবেঙ্গল। তাই সমর্থনের আবেগ মিটারটা দ্বিগুন করুন। থ্রি চিয়ার্স ফর ইস্টবেঙ্গল।
  (নিচে কমেন্ট সেকশনে লিখুন আপনার কি মনে হয়। বিতর্কে যোগ দিন)
যারা ম্যাচ টিভিতে দেখতে পারছেন না, তারা লিখুন এখন আর কি জানতে চান। জানাবেন আমাদের দর্শকরাই। (নিচে কমেন্ট সেকশনে লিখুন)
যারা ম্যাচ টিভিতে দেখছেন, তারা নিচে কমেন্ট সেকশনে লিখে জানান আপনার অনুভুতির কথা। আপনরা কথা শুনবে গোটা দেশ।
আর কয়েক মিনিটের অপেক্ষা তারপরই শুরু ঐতিহাসিক ম্যাচ। সাপোর্ট ইস্টবেঙ্গল। থ্রি চিয়ার্স ফর ইস্টবেঙ্গল। গোটা মাঠ লাল হলুদ জার্সিতে ঢেকে গিয়েছে। উন্মাদনায় আগের সব রেকর্ডকে যেন হারিয়ে দিচ্ছে আজকের যুবভারতী। (আপনার কি মনে হয় ইস্টবেঙ্গল পারবে! (নিচে কমেন্ট সেকশনে লিখুন আপনার কি মনে হয়। বিতর্কে যোগ দিন)
 
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ-- অভিজিত্‍ মণ্ডল, অভিষেক দাস, অর্ণব মণ্ডল, ওপারা, সৌমিক দে, জোয়াকিম আব্রাঞ্চেস, মেহতাব হোসেন, লালরানডিকা, কেভিন লোবো, জেমস মোগা, এডি চিডি। ৫-৫ ছকে খেলাতে পারেন ফালোপা। মাঠের মধ্যে ইতিমধ্যেই অন্তত হাজার কুড়ি সমর্থক ঢুকে গিয়েছেন। শহরের রঙ এখন লাল হলুদ। আবেগের রঙ এখন লাল হলুদ। ইতিহাস থেকে মাত্র একধাপ দূরে ইস্টবেঙ্গল।
দলে দলে মাঠে আসতে শুরু করে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। শিয়ালদহ স্টেশনের সামনের রাস্তা থেকে বাইপাস, রুবির মোড় সব জায়গাতেই স্টেডিয়ামে আসা সমর্থকদের নজরে আসছে।
ইতিহাস থেকে মাত্র একধাপ দূরে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসাবে এএফসি কাপের ফাইনালে যাওয়ার হাতছানি লাল-হলুদের সামনে। সেমিফাইনালের হোম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুয়েত এস সি-কে ২-০ গোলে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়ে ফেলবে ইস্টবেঙ্গল।
কিছুক্ষণ পরেই শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক ম্যাচ। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে লাইভ ম্যাচ টেক্সট কমেন্ট্রি থাকল এই প্রতিবেদনে।
-----------------------
ইতিহাস থেকে মাত্র একধাপ দূরে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ভারতীয় ক্লাব হিসাবে এএফসি কাপের ফাইনালে যাওয়ার হাতছানি লাল-হলুদের সামনে। সেমিফাইনালের হোম ম্যাচে গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুয়েত এস সি-কে ২-০ গোলে হারাতে পারলেই ইতিহাস গড়ে ফেলবে ইস্টবেঙ্গল। জেমা,রজারিনোদের বিরুদ্ধে কাজটা যে মোটেই সহজ নয়,তা বিলক্ষণ জানেন ব্রাজিলিয়ান কোচ মার্কোস ফ্যালোপা। তবে ফুটবলে সবই সম্ভব।
মঙ্গলবারের মেগা ম্যাচের আগে ফ্যালোপা তুলে আনছেন ১৯৯৬ অলিম্পিকের সেমিফাইনালে নাইজেরিয়া-ব্রাজিল ম্যাচের কথা। সেবার ফেভারিট হয়েও হারতে হয়েছিল বেবেতোদের। বাজিমাত করেছিলেন নাইজেরিয়ান কানু। ফ্যালোপা চান মঙ্গলবারের ম্যাচে তাঁর কানু হোন জেমস মোগা।

এএফসি কাপে সেমিফাইনালে ওঠার পথে ইস্টবেঙ্গল
কোয়ার্টার ফাইনালে -
সেমাং পাদাংয়ের বিরুদ্ধে মোট ২-১ ফলে জয়-
অ্যাওয়ে ম্যাচ- ১-১ (মোগা)
হোম ম্যাচ (যুবভারতী)-১-০ (সুয়েকা)
প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল-
ইস্টবেঙ্গল (৫) আনগন ইউনাইটেড (১) (পেন, চিডি হ্যাটট্রিক), মেহতাব
গ্রপ লিগে
ইস্টবেঙ্গল (৪) সাইগন (১)
ইস্টবেঙ্গল (২) সেলানগর (২)
ইস্টবেঙ্গল (৪) ট্যাম্পাইন্স রোভার্স (২)
ইস্টবেঙ্গল (০) সাইগন (০)
ইস্টবেঙ্গল (১) সেলানগর (০)

.