Dani Alves Rape Controversy: 'ধর্ষণ নয়, সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে'! ফের বয়ান বদল করলেন অভিযুক্ত আলভেজ
গত জানুয়ারি মাসে দানি আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। ফুটবলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন তিনি। স্পেনের আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ থাকলে সেটাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিপদ থেকে বাঁচতে একাধিক বার বয়ান বদল করেছেন। তবে এতে লাভ হয়নি। ফের একবার নিজের পুরনো মন্তব্য থেকে সরে এলে দানি আলভেজ (Dani Alvez)। এক তরুণীকে ধর্ষণের (Dani Alves Rape Controversy) দায়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জেলে রয়েছেন ব্রাজিলের (Brazil) তারকা ডিফেন্ডার। এখনও পর্যন্ত আদালত রায় ঘোষণা করেনি। এরমধ্যে কাতার বিশ্বকাপ (FIFA Qatar World Cup 2023) খেলা এই ফুটবলার ফের নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে চাইছেন। আর তাই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তাঁর দাবি, দুই পক্ষের সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন!
গত জানুয়ারি মাসে দানি আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। ফুটবলারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনেন তিনি। স্পেনের আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ থাকলে সেটাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ফলে দানি আলভেজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাতেই বিচার চলছে। বার্সেলোনার একটি নাইটক্লাবের শৌচাগারে দানি আলভেজ সেই তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন। ঘটনার পর সেলেকাওদের তারকার বিরুদ্ধে এমনই মারাত্মক অভিযোগ এনেছিলেন সেই মহিলা। তাঁর সঙ্গে অভব্যতা করেছেন আলভেজ, এমনই অভিযোগ আনেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুন: Sunil Gavaskar: চুনী গোস্বামীকে ভারতীয় ফুটবলের 'ব্র্যাডম্যান' বললেও, বিশেষ তথ্য গুলিয়ে ফেললেন সানি
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: জিনেদিন জিদান না জোস মোরিনহো, আল নাসেরের কোচ হিসেবে রোনাল্ডোর পছন্দ কে?
অভিযোগ পেয়েই পুলিস দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে দানি আলভেজকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও গ্রেফতার হওয়ার পরেই দানি আল্ভেজ দাবি করেছিলেন যে, তিনি নাকি সেই মহিলাকে চেনেন না। তাঁর দাবি ছিল যে, ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। পরে অবশ্য পুলিসের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের জেরে কয়েক সপ্তাহ পরেই তিনি স্বীকার করেন যে তরুণীকে তিনি চেনেন। তবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি তাঁদের মধ্যে, সেই সময়ও এমনটাই দাবি করেছিলেন দানি আলভেজ। আদালতে বিচারপতির সামনে একাধিকবার বয়ান বদলের জন্য বিচারক তাঁকে সবার সামনে বকাঝকা করেছিলেন। এমন কাণ্ড ঘটানোর জন্য তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। বিচারকের মন্তব্য ছিল, 'জামিন পেলেই পালিয়ে যেতে পারেন দানি আলভেজ!'
আপাতত স্পেনের একটি জেলে বন্দি রয়েছেন দানি আলভেজ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে দেয় মেক্সিকোর ক্লাব পুমা উনাম। এহেন পরিস্থিতিতে নিয়ে আদালতের সামনে হাজিরা দিতে আবেদন করেছিলেন দানি আলভেজ। সেখানে তিনি বলেন, 'সেই তরুণীর সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক ছিল ঠিকই। কিন্তু দুপক্ষের সম্মতিতেই এই সম্পর্ক হয়েছিল।' আর এর পরেই এই ইস্যু অন্যদিকে মোড় নিল। একাধিকবার নিজের মন্তব্য বদল করার জন্য এখন ব্যাপক চাপে একটা সময় বার্সেলোনায় খেলা এই ফুটবলার।
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)