বেআইনি ভাবে ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানোর বিরুদ্ধে বেনজির সিদ্ধান্ত নিল CAB
ভিক্টোরিয়াকে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করার পাশাপাশি রৌনক সিংকে নিষিদ্ধ করল বঙ্গজ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। শনিবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে বেনজির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল সিএবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেআইনি ভাবে ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার খেলানো নিয়ে কিছুদিন আগেই সরগরম হয়েছিল বাংলার ক্রিকেট। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের দুই ক্রিকেটার রৌনক সিং ও মুদিত প্রভাকরের বিরুদ্ধে জাল ভোটার কার্ড বানিয়ে খেলার অভিযোগ এনেছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ভিক্টোরিয়াকে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করার পাশাপাশি রৌনক সিংকে নিষিদ্ধ করল বঙ্গজ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। শনিবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে বেনজির সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল সিএবি।
সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জানিয়েছেন,"দুর্নীতিগ্রস্ত আচরণের ক্ষেত্রে অ্যাসোসিয়েশন শূন্য সহনশীলতা নীতি মেনে চলবে। দুই পক্ষের শুনানির পর সিএবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রৌনক সিংকে সিএবি-র টুর্নামেন্ট থেকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো। পাশাপাশি অ্যাসোসিয়েশন এক লক্ষ টাকার জরিমানা ধার্য করেছে ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে। ইডেনে দ্বিতীয় ডিভিশনের ওয়ান ডে সেমিফাইনালের ফলাফল বিপরীত হয়ে গেল প্রতিবাদের ভিত্তিতে।" সিএবি সচিব স্নেহাশিষ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলছেন, "সিএবি কঠোর ভাবে আইনকানুন মেনে চলবে। খেলার অখণ্ডতার প্রশ্নে কোনও রকম সমঝোতা করা হবে না।" সিএবি জানাচ্ছে যে, মুদিত প্রভাকরের যে নথিপত্র ঠিক আছে। কিন্তু রৌনক সিংয়ের আধার কার্ড বলছে যে, তিনি উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই তা যাচাই করে জানা গিয়েছে। ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব জানিয়েছে যে, তাদের কাছে রৌনক যে আধার কার্ড দিয়েছেন তাতে কলকাতার ঠিকানাই রয়েছে। ক্লাবকে না জানিয়েই রৌনক ঠিকানা বদল করে ফেলেন।
ইডেনে দ্বিতীয় ডিভিশনের ওয়ান ডে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। ওই ম্যাচে ভিক্টোরিয়া আট উইকেটে জিতলেও রৌনক ও মুদিতকে খেলানো নিয়েই প্রচণ্ড গণ্ডগোল হয়েছিল। সিএবির নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় ডিভিশনে কোনও ভিনরাজ্যের ক্রিকেটারকে খেলানো যায় না। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দাবি করেছিল যে, এই দুই ক্রিকেটারের কেউই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা নন। তাঁদের জাল ভোটার কার্ড দেখিয়ে খেলছেন। রৌনক ও মুদিত বহিরাগত, এসেছেন ভিন রাজ্যের। পুলিশ এই মর্মেই প্রতিবাদ জানিয়ে ম্যাচের মাঝেই অবজার্ভারকে চিঠি দিয়ে তাদের অভিযোগ দায়ের করেছিল। যার জেরে ভিক্টোরিয়া জিতলেও সিএবি সরকারি ভাবে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেনি সেদিন। এই মর্মে রাতে বৈঠকেও বসেন সিএবি কর্তারা।