কুস্তিগীর খুনের ঘটনায় আরও ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে অলিম্পিক্স পদকজয়ী Sushil Kumar
কুস্তিগীর হত্যাকাণ্ডে সুশীলকে 'মাস্টারমাইন্ড'ও বলা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৩ বছরেরে তরুণ কুস্তিগীর সাগর রানাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত সুশীল কুমার (Sushil Kumar) ৬ দিনের পুলিসি হেফাজত বেড়ে ১০ দিনের হলো। শনিবার দু'বারের অলিম্পিক্স পদক জয়ী কুস্তিগীর ও তাঁর সহযোগী অজয় কুমার শেরাওয়াতকে আরও চার দিন পুলিসি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল দিল্লি আদালত। আদালত জানিয়েছে, আইন সকলের জন্য সমান। তার ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সুশীল ও অজয় কুমারের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগও এনেছেন সরকারী পক্ষের আইনজীবীরা। কুস্তিগীর হত্যাকাণ্ডে সুশীলকে 'মাস্টারমাইন্ড'ও বলা হচ্ছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্জাবের জলন্ধর থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। সুশীল পুলিশকে জানান যে, হত্যাকাণ্ডের দিন সুশীল ছত্রসাল স্টেডিয়ামেই ছিলেন। গত ২৩ মে প্রথম বার সুশীলকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁকে ১২ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখতে চেয়েছিল পুলিস। কিন্তু সুশীলের আইনজীবীদের তীব্র আপত্তিতে দিল্লির রোহিনী আদালত ৬ দিনের হেফাজতে সায় দেয়। ফের চার দিন হেফাজত বাড়ল। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, সুশীল একজনকে মাটিতে ফেলে মারছেন! অনেকেরই দাবি যে, সুশীলের মারেই প্রয়াত হয়েছেন ওই তরুণ কুস্তিগীর।
আরও পড়ুন:মারধরের ছবি ও ভিডিয়ো ভাইরাল! কুস্তিগির সাগর হত্য়াকাণ্ডে আরও বিপাকে Sushil Kumar
এখন সুশীলের ঠিকানা দিল্লির মডেল টাউন পুলিশ স্টেশনে। পুলিশের জেরায় সুশীল জানিয়েছেন যে, তিনি সাগরকে ভয় দেখাতেই চেয়েছিলেন। মেরে ফেলতে চাননি। সুশীলকে ছত্রশাল স্টেডিয়ামে নিয়ে গিয়েও খুনের ঘটনার পুননির্মাণ করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ৮ জন সাক্ষী জোগাড় করে ফেলেছে দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যাঁরা সুশীলের বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছেন। তবে এটা বোঝা যাচ্ছে যে দেশের তারকা কুস্তিগীরের খুনের মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার রাস্তা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে।