নিজস্ব প্রতিবেদন- গোটা বছর কেটে গেল! ম্যাচ হল আর ক'টা! ২০২০ সালের বেশিরভাগ সময়টাই ক্রিকেটাররা পরিবারের সঙ্গে কাটালেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সূচি নিয়ে বারবার অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছে বিভিন্ন দেশের তারকারদের মুখে। এত ঘন ঘন ম্যাচ! আইসিসি-র দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। কিন্তু লাভ হয়নি। ক্রিকেটারদের কাছে অবশ্য এই বছরটা শাপে বর হয়েছে। কোভিড-এর জন্য বছরের বেশিরভাগ সময়টাতেই ক্রিকেট হয়নি। তাতে অবশ্য আইসিসি-কে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। আবার ক্রিকেট ফিরেছেও শর্তসাপেক্ষে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বায়ো-বাবল। নতুন এই শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন ক্রিকেটাররা। শব্দ না বলে অভ্যাস বললেও ভুল হবে না। এক দেশ থেকে আরেক দেশে এখন ক্রিকেট খেলতে গেলে ক্রিকেটারদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। তার উপর গোটা সফর ধরে বায়ো-বাবল বা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হচ্ছে। অর্থাত্, ক্রিকেটাররা বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। এমনকী নিজেদের ইচ্ছেমতো যেখানে খুশি যেতেও পারবেন না। এমন একখানা জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম-কানুন মেনে চলা যে কতটা কঠিন, তা জানিয়েছেন বহু ক্রিকেটার। তবে যাই হোক, করোনা আক্রান্ত বছরে যে শেষমেশ মাঠে বল গড়িয়েছে, সেটাই বা কম কী! 


আরও পড়ুন-  যত বাধা মেয়েদের ক্রিকেটেই! পিছিয়ে গেল ঝুলনদের অস্ট্রেলিয়া সফর



ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে লকডাউন পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট ফিরেছে। আর নিউ জিল্যান্ড-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ দিয়ে বছর শেষ হল। ৩০ ডিসেম্বর বছরের শেষ ডেলিভারি বেরোল Mitchell Santner -এর হাত থেকে। পাকিস্তানের টেল এন্ডার নাসিম শাহর ক্যাচ ধরলেন তিনিই। তাও আবার এক হাতে। আর সেই ক্যাচ-ই শেষ করে দিল পাকিস্তানের ইনিংস। অর্থাত্, বছরের শেষ ডেলিভারি দুই দলের কাছেই মনে রাখার মতো হয়ে থাকল। ১০১ রানে জিতল নিউ জিল্যান্ড। টেস্ট সিরিজ ১-০-তে এগিয়ে গেল কিউয়িরা।