Wrestler's Protest in Delhi: দিল্লিতে কুস্তিগীরদের ধরনায় হাজির বৃন্দা, মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বললেন বজরং পুনিয়া
ইস্যু নিয়ে সবার প্রথমে মুখ খুলেছিলেন বিনেশ ফোগাট। তিনি বলেছিলেন, "জাতীয় দলের কোচরা মহিলা কুস্তিগীরদের বছরের পর বছর যৌন হেনস্থা করে আসছেন। কিছু বললেই ডব্লিউএফআই-এর কর্তাদের থেকে মৃত্যুর হুমকি পেতে হয়!"
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: তারকা কুস্তিগীর বিনেশ ফোগাট যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন গোটা দেশে। নিশানা করেছেন কুস্তি ফেডারেশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরন সিংয়ের বিরুদ্ধে। তাঁর শাস্তির দাবিতে দিল্লিতে ধরনা শুরু করেছেন বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, সরিতা মোর, সঙ্গীতা ফোগাট, সত্যওয়ার্ট মালিক, জিতেন্দর কিনহাস, সুমিত মালিকের মতো ৩০ কুস্তিগীর। বৃহস্পতিবার সেই মঞ্চে এসে হাজির সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাত। কিন্তু তাঁকে সরে যেতে বললেন অলিম্পিক্সে পদকজয়ী বজরং পুনিয়া।
আরও পড়ুন-বিনেশদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার ফেডারেশন সভাপতির বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করলেন বজরঙ্গ
এদিন বৃন্দা কারাট ও তাঁর সঙ্গীরা যন্তরমন্তরে কুস্তিগীরদের ধরনা মঞ্চে হাজির হন। তাদের সঙ্গে ধরনায় বসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বেঁকে বসেন কুস্তিগিররা। বৃন্দাদের দেখেই ধরনা মঞ্চে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। কিছুটা গোলমালও ছড়িয়ে পড়ে মঞ্চে। সেই সময় মাইক হাতে নেন বজরং পুনিয়া। অন্যান্য কুস্তিগীরদের সঙ্গে তিনিও বলতে থাকেন, ম্য়াডাম দয়া করে মঞ্চে থেকে নেমে যান। প্লিজ এই ধরনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানাবেন না। হাত জোড় করে অনুরোধ করছি নীচে চলে যান। এটা একেবারেই খেলোয়াড়দের ধরনা। ওই কথা শুনে পিছু হঠেন বৃন্দারা।
#WATCH | CPI(M) leader Brinda Karat asked to step down from the stage during wrestlers' protest against WFI at Jantar Mantar in Delhi. pic.twitter.com/sw8WMTdjsk
— ANI (@ANI) January 19, 2023
কেন্দ্রীয় সরকার ও সাই-এর বিরুদ্ধে নয়। কুস্তিগীরদের লড়াই রেস্টলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বজরং। তিনি আরও যোগ করেছেন, "বছরের পর বছর ধরে কুস্তিগীরদের রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছে হেনস্থা হতে হচ্ছে। তাই আমাদের লড়াই কেন্দ্রীয় সরকার ও সাই-এর বিরুদ্ধে নয়। বরং রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে। কারণ এই সংস্থার চেয়ারে এমন কিছু লোক বসে আছে, যারা একেবারেই যোগ্য নয়।"
এই ইস্যু নিয়ে সবার প্রথমে মুখ খুলেছিলেন বিনেশ ফোগাট। তিনি বলেছিলেন, "জাতীয় দলের কোচরা মহিলা কুস্তিগীরদের বছরের পর বছর যৌন হেনস্থা করে আসছেন। কিছু বললেই ডব্লিউএফআই-এর কর্তাদের থেকে মৃত্যুর হুমকি পেতে হয়!"