অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: 'ওই মহামানব আসে, দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে, মর্তধূলির ঘাসে ঘাসে, সুরলোকে বেজে ওঠে শঙ্খ!'...
Add Zee News as a Preferred Source
news
TRENDING NOW
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই লাইনগুলো, ভীষণ ভাবে প্রযোজ্য ফুটবল গ্রহের মহানক্ষত্র লিয়োনেল মেসির (Lionel Messi) জন্য। বিশ্বকাপ জয়ী আটবারের ব্যালন ডি'অর জয়ীর কোনও ভূমিকারই প্রয়োজন নেই আর। তিনি আজ নিজেই একটা ব্র্যান্ড।
মহাবিশ্বের কোটি কোটি মানুষ মেসি ম্যাজিকে বুঁদ। এহেন কিংবদন্তিকে ফের একবার দেখতে চলেছে ফুটবলপাগল শহর কলকাতা। আগামী ১০ জুলাই, বুধবার ভারতীয় সময় ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে কোপার সেমিফাইনালে নামবে আর্জেন্টিনা বনাম কানাডা। আর তার আগেই মেসিকে নিয়ে রবিবার চলে এল মেগা আপডেট।
২০১১ সালে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলেন মেসি। সেই সময়ে যুবভারতীতে মেসিরা একটি প্রীতি ম্যাচও খেলেছিলেন। মাঠেও নেমেছিলেন লিও। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বিরাট উপহার পেতে চলেছেন দুই বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। ভারত এবং বাংলাদেশে পা পড়তে পারে এলএমটেনের।
মেসিকে নিয়ে আসছেন ক্রীড়া উদ্যোগপতি শতদ্রু দত্ত। ঘটনাচক্রে শতদ্রুর হাত ধরে কলকাতায় একের পর এক ফুটবলবিশ্বের মহারথীরা এসেছেন। রিষড়ার বাঙুর পার্কের বাসিন্দার হাত ধরে পেলে (২০১৫, দ্বিতীয়বার কলকাতা সফর), দিয়েগো মারাদোনা, দুঙ্গা, কাফুরা এসেছেন। মেসির সতীর্থ ও বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজও ঘুরে গিয়েছেন কলকাতা। অলিম্পিক্স সোনা জয়ী নীরজ চোপড়াকেও শহরে এনেছেন শতদ্রু।
ইতিমধ্যেই শতদ্রু মেসির বাবা জর্জ মেসির সঙ্গে গিয়ে দেখা করে এসেছেন। সেই ছবি শেয়ার করেছেন ফেসবুকেও। শতদ্রুর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মেসিরও। জানা যাচ্ছে কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত। মেসির বাবার সঙ্গে কথা বলে রীতিমতো আপ্লুত এই ক্রীড়া উদ্যোগপতি। তবে শুধু মেসি নয়, রয়েছে আরও একাধিক চমক। মেসির আরও দুই সতীর্থ অ্যানহেল ডি মারিয়া এবং রডরিগো ডি পলও আসছেন কলকাতায়। কোপা আমেরিকা শেষ হলেই ঠিক হয়ে যাবে যে, মেসি অ্য়ান্ড কোং কলকাতায় পা রাখবেন।
শতদ্রুর থেকে আরও একটি আপডেট পাওয়া গিয়েছে। কলকাতায় আসতে পারেন আরও এক ব্রাজিলিয়ান মহতারকা। যিনি আবার বার্সেলোনা ও পিএসজি-তে মেসির সতীর্থ ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথাবার্তা অনেকটাই ইতিবাচক। আগামী মাসে তাঁর বাবার সঙ্গে বৈঠক রয়েছে শতদ্রুর। সব ঠিক থাকলে তিনি হয়তো চলতি বছরেই পা রাখতে চলেছেন কলকাতা এবং বাংলাদেশে।
বলতে বলতে গোওওওল... থেকে বোলারের মাথার উপর দিয়ে তুলে ছয়! মূলত ক্রীড়া সাংবাদিকতায়, তবুও বিনোদন থেকে বিজ়নেস, সর্বত্র কলম-ক্যামেরায় বিচরণ। ২০১১ সালে সাংবাদিকতার বাইশ গজে ডেবিউ। প্রিন্ট-টিভি-ডিজিটাল, তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৪ বছরের চলমান ইনিংস। লিখতে লিখতে কাট যায়ে রাস্তে...এমনই ভাবনা আজীবন শিক্ষানবিশের...
By accepting cookies, you agree to the storing of cookies on your device to enhance site navigation, analyze site usage, and assist in our marketing efforts.