Quess কর্ণধার আইজ্যাকের চিঠিতে অথৈ জলে East Bengal
কোয়েস কর্ণধারের এই চিঠির পর ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা যে আরও বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অজিত আইজ্যাকের পত্র বোমা। কোয়েস কর্ণধারের পাঠানো চিঠিতে অথৈ জলে ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার রাতে এআইএফএফ কে বিস্ফোরক চিঠি পাঠান অজিত আইজ্যাক। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে দেন কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি এখনও বহাল। ফেডারেশন কোয়েসের ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি ভঙ্গ নিয়ে কানাঘুষো যাই শুনুক না কেন, তাতে কোনও সত্যতা নেই।
ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে গাঁটছড়া ভাঙ্গার ব্যাপারে যে আলোচনা চলছে তা ফেডারেশনকে পাঠানো চিঠিতে পরিষ্কার করেছেন কোয়েস কর্ণধার। তিনি জানিয়েছেন, গাঁটছড়া ভাঙার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের অধিকার থাকবে কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের কাছেই। তাঁরা না জানানো পর্যন্ত ফেডারেশন যেন নতুন কোনও কোম্পানিকে ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য নথিভূক্ত করতে না দেয়। তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন অজিত আইজ্যাক।
কোয়েস কর্ণধারের এই চিঠির পর ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা যে আরও বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য। কারণ, কয়েকদিন আগেই নতুন কোম্পানিকে ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য নথিভুক্ত করতে চেয়ে এআইএফএফ-কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। ওই চিঠি তাদের আইনি বিভাগে পাঠিয়ে দেয় ফেডারেশন। আইনি বিভাগ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি ভঙ্গের নথি (Termination Agreement) দেখাতে হবে। যেভাবে কিংফিশারের সময় দেখিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এই চিঠি পাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা চিঠি লেখেন অজিত আইজ্যাক। কোয়েস কর্ণধারের যা মনোভাব তাতে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, চুক্তি ভঙ্গের প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। ফেডারেশন কর্তারাও লাল হলুদ আর কোয়েসের ঝামেলার মধ্যে না ঢোকাকেই শ্রেয় মনে করছেন। পরিস্থিতির যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে আইএসএলে খেলা তো দূর অস্ত, নতুন মরসুমে ফেডারেশনের টুর্নামেন্টে খেলাই কঠিন হয়ে যেতে পারে ইষ্টবেঙ্গলের।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ বিক্রি! ফাইনাল ম্যাচ ফিক্সিং- এর অভিযোগে এবার মুখ খুলল আইসিসি