বাঁচার জন্য ইস্টবেঙ্গলের হাতে সময় মাত্র আর ১৫ দিন!
৩১ মে এর পর কোয়েস এর সঙ্গে গাঁটছড়া ভেঙেছে লাল হলুদের। যদিও সমস্ত স্পোর্টিং রাইটস- ই এখনও কোয়েস-র দখলে। নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও দেয়নি তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চাপ বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল এর উপর। আগামী দু'সপ্তাহ সময়ের সঙ্গে লড়তে হবে লাল-হলুদ কর্তাদের। না হলে অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে চলতি মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ বা আইএসএল কিংবা সুপার কাপে খেলা।
চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে ক্লাব লাইসেন্সিং এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আই লিগ আর আইএসএল ক্লাবগুলোকে পাঠিয়ে দেবে ফেডারেশন। সেই কাগজপত্রে সই আর স্টাম্পিং করিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেডারেশনের কাছে ফেরত পাঠানোর কথা ক্লাবগুলোর। নিয়মমতোই ক্লাব লাইসেন্সিং-এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কোয়েস ইস্টবেঙ্গলকে পাঠাবে এআইএফএফ। আর এখানেই জটিলতা শুরু।
৩১ মে এর পর কোয়েস এর সঙ্গে গাঁটছড়া ভেঙেছে লাল হলুদের। যদিও সমস্ত স্পোর্টিং রাইটস- ই এখনও কোয়েস-র দখলে। নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও দেয়নি তারা। ফেডারেশন সূত্রের খবর, এই অবস্থায় ক্লাব লাইসেন্সিং এর জন্য কোম্পানির নাম পরিবর্তন করতে গেলে চিঠি লিখে এআইএফএফ এর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সঙ্গে লাগবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তারপর কোয়েস আর ইস্টবেঙ্গলের কাছ থেকে আলাদা আলাদা মুচলেকা বা গ্যারান্টি চাইবে এআইএফএফ। যেখানে দু তরফের থেকেই লিখিতভাবে জানাতে হবে ভবিষ্যতে কোনও জটিলতা তৈরি হলে পুরোপুরি ভাবে দায় বর্তাবে তাদের ওপর। এই গ্যারান্টি পাওয়ার পরই নতুন কোম্পানিকে ক্লাব লাইসেন্সিং এর জন্য নথিভূক্ত হওয়ার অনুমতি দেবে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। পুরো প্রক্রিয়াটি ১৫ই জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে লাল-হলুদকে।
কেননা ফেডারেশন সূত্রের খবর ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া একবার শুরু হয়ে গেলে মাঝপথে তা পরিবর্তন করা যায় না। বাড়তি সময় চেয়ে ফেডারেশন এর কাছে আবেদন করতেই পারে লাল- হলুদ। তবে বলা যেতেই পারে সময় খুব কম ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে।
আরও পড়ুন - EPL চ্যাম্পিয়ন হয়েও শাস্তির মুখে; বাকি হোম ম্যাচ অ্যানফিল্ডে খেলতে পারবে না লিভারপুল