ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলের হার, কর্তার মুখে জুতো ছুঁড়লেন সমর্থকরা
ম্যাচে হারের হতাশা! নাকি জমে থাকা ক্ষোভ!
নিজস্ব প্রতিবেদন : ডার্বির আগের ম্যাচে হার। ইস্টবেঙ্গলের মনোবলে প্রভাব পড়বে? সেটা সময় বলবে। তবে এদিন কল্যাণীর মাঠে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যা করলেন তাতে ক্লাবের সম্মানে প্রভাব অবশ্যই পড়বে। গোকুলামের কাছে ৩-১ গোলে হারল ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি ম্যাচের চারদিন আগে এই হার দলের দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরল। তবে এদিন ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স ঘিরে অনেক প্রশ্নই উঠতে পারে। ডার্বির আগে কতটা তৈরি ইস্টবেঙ্গল! আই লিগ জয়ের ক্ষেত্রেই বা লালা-হলুদ ব্রিগেড কতটা এগিয়ে! এইসব একাধিক প্রশ্ন উঠল এদিন।
ম্যাচে হারের হতাশা! নাকি জমে থাকা ক্ষোভ! ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর কোয়েস কর্তা সঞ্জিত সেনকে এদিন জুতো ছুঁড়ে মারলেন সমর্থকরা। মুহূর্তে যেন রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কল্যাণীর মাঠ। হঠাত্ করেই কোয়েস কর্তাদের উপর চড়াও হলেন একদল সমর্থক। সমর্থকদের এমন ব্যবহার নিশ্চয়ই অবাক করবে কর্তাদের! গোয়ায় চার্চিলের বিরুদ্ধে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। তার পর এই হার। এদিন জিততে পারলে ইস্টবেঙ্গল দুই নম্বরে উঠে আসতে পারত। তা হলে ডার্বি হত আই লিগের এক ও দুই নম্বরের লড়াই। কিন্তু এই হারের পর ইস্টবেঙ্গল রয়ে গেল পাঁচ নম্বরে।
আরও পড়ুন- তিনে সফল, চারে নামলেই কী যে হয় কোহলির! পরিসংখ্যান দেখলে চমকে যাবেন
এদিন শুরু থেকেই ইস্টবেঙ্গলকে নাকানি-চোবানি খাওয়াতে থাকে গোকুলাম। গোকুলমের দুই সেরা ডিফেন্ডার হারুণ আমিরি ও মহম্মদ ইর্শাদ এই ম্যাচে খেলতে পারেননি কার্ড সমস্যার জন্য। তবুও জমাট রক্ষণ ধরে রাখে তারা। মজার ব্যাপার হল, গোকুলামের কোচ ফের্নান্দো সান্তিয়াগো ও ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেসান্দ্রো দুজনেই স্প্যানিশ। ফলে এদিন দুই কোচের যেন ডুয়েল ছিল। তাতে ফের্নান্দো ম্যাচ জিতে গেলেন।