জুয়া যখন ফুটবল মজা

সেন্ট পিটারসবার্গের নেভসকী প্রসপেক্ট । জমজমাট এলাকা। এমনি সময়ে দেশ বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। আর এখন তো সব দেশের ফুটবলপ্রেমীরা সকাল- বিকেল জমিয়ে রাখছেন অঞ্চলটাকে । তার মধ্যেই একটা জায়গায় দেখলাম ছোট্ট একটা গোলপোস্ট। পোস্টটার ঠিক মাঝখানে দুটো জলের বোতল দাঁড় করানো। 

Updated By: Jul 13, 2018, 03:53 PM IST
জুয়া যখন ফুটবল মজা

অমৃতাংশু ভট্টাচার্য

বিশ্বকাপ মানেই ফুটবলকে কেন্দ্র করে অঢেল মজা। সেই মজাটা আইনি না বেআইনি তার তোয়াক্কা করেন না ফুটবলপ্রেমীরা । আর যার জন্য একটা বিশ্বকাপে দারুন একটা প্রভাব ফেলে যায় আয়োজক দেশের অর্থনীতিতে । 

যেমন ধরুন সেন্ট পিটারসবার্গের নেভসকী প্রসপেক্ট । জমজমাট এলাকা। এমনি সময়ে দেশ বিদেশের পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। আর এখন তো সব দেশের ফুটবলপ্রেমীরা সকাল- বিকেল জমিয়ে রাখছেন অঞ্চলটাকে । তার মধ্যেই একটা জায়গায় দেখলাম ছোট্ট একটা গোলপোস্ট। পোস্টটার ঠিক মাঝখানে দুটো জলের বোতল দাঁড় করানো। অনেকটা পেনাল্টি মারার ঢঙে শট করতে হবে ওই বোতলগুলো কে লক্ষ্য করে। প্রত্যেকটা শট মারার জন্য দিতে হবে ২০০ রুবেল। আর যদি কেউ শট মেরে দুটো বোতল ফেলে দিতে পারেন তাহলে ফেরত পাবেন ৪০০ রুবেল। মানে এক শটেই টাকা ডবল।

খেলার মজায় দিব্যি লোকজন কিন্তু রুবেল দিয়ে শট মেরে যাচ্ছিলেন। কদাচিৎ কার ও শট দুটো বোতল ফেলতে পারছিল, আবার কারোর শট বেরিয়ে যাচ্ছিল এদিক ওদিক । ফলে যে তরুণী রুবেল সংগ্রহ করেছিলেন প্রতিমুহূর্তে মোটা হচ্ছিল তাঁর মনিব্যাগ। আর হবে নাই বা কেন? যাঁরা শট নিচ্ছিলেন তাঁরা কেউ তো আর পেশাদার ফুটবলার নন,নেহাতই ফুটবলপ্রেমী। 

নেমার কেন 'অভিনয়' করেন, জানালেন রোনাল্ডো

এটাকে জুয়া বলতে পারেন । বেআইনি বলতে পারেন। ভ্রুক্ষেপ নেই কারও। এমনকি চারপাশে ঘুরে বেড়ানো পুলিস কর্মীরাও আমল দিচ্ছিলেন না ব্যাপারটাকে। আসলে বিশ্বকাপ ফুটবল আইনি বেআইনির সীমারেখাটাও এক শটে মুছে দিতে পারে।

.