FIFA World Cup 2022: লাইভ রিপোর্টিংয়ে সর্বস্ব খোয়ালেন সাংবাদিক, পুলিসের আচরণে চক্ষু চড়কগাছ তাঁর!
FIFA World Cup 2022: লাইভ রিপোর্টিংয়ে সর্বস্ব খুইয়ে পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংবাদিক! পুলিস বলল, সাংবাদিকই ঠিক করে দিক কী শাস্তি হবে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আর্জেন্টিনার সাংবাদিক ডমিনিক মেটজগার অনভিপ্রেত ঘটনার শিকার হলেন কাতারে। বুম হাতে ধরে, তিনি লাইভ রিপোর্টিং করছিলেন স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে। ঠিক তখনই ডাকাতির শিকার হন তিনি। তাঁর হ্যান্ডব্যাগ থেকে ওয়ালেট ও জরুরি কাগজপত্র চুরি হয়ে যায়। কাতার বনাম ইকুয়ে়ডর (Qatar vs Ecuador) ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) ঢাকে কাঠি পড়েছে। আল বায়েত স্টেডিয়ামের ফ্যান জোনে এই ঘটনার শিকার হন ডমিনিক। তবে ডমিনিক সবচেয়ে অবাক হয়েছেন যখন তিনি স্থানীয় থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন। কাতারি পুলিসের প্রতিক্রিয়ায় চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে তাঁর। ডমিনিক পুরো ঘটনার বিবরণ ভিডিয়ো পোস্ট করে দিয়েছেন।
ডমিনিক বলেন, 'মহিলা পুলিস আধিকারিক আমাকে বলেন, দেখুন সর্বত্র আমাদের হাই-টেক ক্যামেরা বসানো আছে। চোর আমরা ধরে ফেলব ক্যামেরার ফেস ডিটেকশন প্রযুক্তির মাধ্যমে। আপনি বলুন যখন ওকে আমরা ধরব, তখন কী শাস্তি দেব!' ডমিনিক এই প্রশ্নে হতবাক হয়ে যান। পুলিস আধিকারিক তাঁকে বুঝিয়ে বলেন যে, 'আপনি কী বিচার চাইছেন? আপনি কি চান চোরের পাঁচ বছর জেল হোক নাকি তাকে আমরা ডিপোর্ট করি?' ডমিনিক জানান যে, তিনি পুলিসকে বলেছেন যে, চুরি যাওয়া জিনিসগুলি ফেরত পেলেই হবে। তিনি কোনও শাস্তির পরামর্শ দেননি। কাতারে প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ ভিন দেশ থেকে এসেছেন বিশ্বকাপ দেখার জন্য। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ৫০ হাজারের ওপর নিরাপত্তারক্ষীকে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিণ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও এক সাংবাদিক বিশ্বকাপ কভার করতে এসে হেনস্থার শিকার হয়েছেন। দিন চারেক আগে দোহার রাস্তায় দাঁড়িয়ে লাইভ রিপোর্টিং করছিলেন ডেনমার্কের টিভি ২ চ্যানেলের সাংবাদিক ব়্যাসমাস টেন্টহোল্ট। চিত্র সাংবাদিক-সহ সেখানে সেই চ্যানেলের অনান্য কর্মীরাও ছিলেন। কাজ করার সময় তিন জন এসে হাজির হন। শোনা যাচ্ছে সেই তিন জন নাকি বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা সেখানে পৌঁছে ছবি তোলায় বাধা দেন। ক্যামেরার লেন্স চেপে ধরা হয়। ঘটনায় উত্তেজিত সাংবাদিক বিশ্বকাপের পরিচয়পত্র ও ভিডিয়ো তোলার অনুমতিপত্র দেখিয়ে দাবি করছেন, পাবলিক প্লেসে এভাবে ছবি তোলায় বাধা দেওয়া যায় না। তবে তাঁর কথা শোনা হয়নি। এই ঘটনার জেরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয় ফিফাও।