ব্যাটিং আমার কাছে ধ্যান করার মতো: পূজারা

“আমি ব্যাটিং করতে গিয়ে সব ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখি। ব্যাটিং করা মানে আমার কাছে ধ্যান করা। ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় ভাবনা গিজগিজ করলে কখনই দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকা যায় না। নন-স্ট্রাইকে থাকলেও আমি কিছু ভাবি না। সবসময় সচেতন থাকি এবং প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করি।”

Updated By: Jan 9, 2019, 04:45 PM IST
ব্যাটিং আমার কাছে ধ্যান করার মতো: পূজারা
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: শুনেছি ভিভিএস লক্ষ্মণ যখন ব্যাট করতে নামতেন, তার আগে স্নান করে নিতেন। আর একটি আপেল খেতেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক অনুষ্ঠানে একাধিকবার ভিভিএসের এই অভ্যাসের কথা ফাঁস করেছেন। ড্রেসিং রুমের এই সিক্রেটের কথা জানিয়েছেন সচিনও।  ভিভিএস পরবর্তী সময়ে  নিজেও এই কথা স্বীকার করেছেন। বড় ইনিংস খেলতে না কি ওই একটা স্নান আর আপেল ভিভিএস-কে এক্সিলারেট করত।

আরও পড়ুন- সচিন-কোহলিকে ছাপিয়ে গেলেন নিউ জিল্যান্ডের রস টেলর

ইডেনে ভিভিএসের ২৮১ রানের ইনিংস যারা দেখেছেন, তারা বলেন একাগ্রতা আর মনোসংযোগ ছাড়া ওমন একটা ইনিংস খেলা যায় না।  সিডনিতে চেতেশ্বরের ১৯৩ রানের ইনিংস নিয়েও সেই একই কথা বলছেন তারা। একদিক থেকে মাথা বরাবর ধেয়ে আসছে বাউন্সার। সেটাও একশো কিলোমিটার গতিতে। তারওপর নাথান লিয়ঁর ‘বিনয়ী বিষ’। প্রতিটা ঘাতক বলকে অবলীলায় ছাড়ছিলেন তিনি। পাল্টা প্রতিঘাতও করছিলেন মাঝে মাঝেই।  একবার হেলমেটেও লাগল। গায়ে নিলেন একাধিক আঘাত। তবু উইকেট দিয়ে এলেন না। কীভাবে পারলেন? চেতেশ্বর পূজারা বলছেন ধ্যান করে!

আরও পড়ুন- বিরাটের ব্যবহারে মুগ্ধ ম্যাকগ্রা, সচিনের সঙ্গে তুলনা কোহলির!

গোটা সিরিজে মোট সাত ইনিংসে ১ হাজার ২৫৮ ডেলিভারির মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ক্রিজে ছিলেন ১ হাজার ৮৬৭ মিনিট। ভারতীয় ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ। অস্ট্রেলিয়ায় এর আগে সবথেকে বেশিক্ষণ ব্যাট ও বল খেলার নজির ছিল দ্রাবিড়ের। ২০০৩-০৪ সালে ১ হাজার ২০৩টি ডেলিভারি খেলেছিলেন রাহুল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন পূজারা। শুধু দ্রাবিড়ের রেকর্ড ভাঙাই নয়, এই সিরিজে তিনটি শতরান-সহ মোট ৫২১ রান করে ম্যান অব দ্য সিরিজ খেতাব অর্জন করেছেন তিনি।

(ছবি- টুইটার)

এই সাফল্য এসেছে ধ্যানেই, বলছেন পূজারা। ফক্স ক্রিকেটকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের ‘মুকুটহীন রাজা’ চেতেশ্বর জানিয়েছেন, “আমি ব্যাটিং করতে গিয়ে সব ভাবনাকে দূরে সরিয়ে রাখি। ব্যাটিং করা মানে আমার কাছে ধ্যান করা। ব্যাটিংয়ের সময় মাথায় ভাবনা গিজগিজ করলে কখনই দীর্ঘ সময় ক্রিজে থাকা যায় না। নন-স্ট্রাইকে থাকলেও আমি কিছু ভাবি না। সবসময় সচেতন থাকি এবং প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করি।” সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন সেই মন্ত্র, ‘প্র্যাকটিস মেকস অ্যা ম্যান পারফেক্ট’।         

.