আমি সেরা ভাবো, কিন্তু প্রতিপক্ষকে ছোট ভেবো না : পেলে
পেলেকে বিশেষণে ভরিয়ে দেওয়া হয়, হচ্ছে চিরকাল। কেউ বলেন ফুটবল সম্রাট। কেউ বা বলেন, ব্ল্যাক পার্ল। কিন্তু ৩৮ বছর পর কলকাতায় এসে স্বয়ং পেলই যেন বুঝিয়ে দিয়ে বললেন, পেলে নামটার জন্য কোনও বিশষণের দরকার হয় না। বরং, ''পেলে'' শব্দটাই বিশেষণ। সোমবার নানা সময়ে, নানা মানুষের উত্তরে পেলে যা বললেনঃ
ওয়েব ডেস্ক: পেলেকে বিশেষণে ভরিয়ে দেওয়া হয়, হচ্ছে চিরকাল। কেউ বলেন ফুটবল সম্রাট। কেউ বা বলেন, ব্ল্যাক পার্ল। কিন্তু ৩৮ বছর পর কলকাতায় এসে স্বয়ং পেলই যেন বুঝিয়ে দিয়ে বললেন, পেলে নামটার জন্য কোনও বিশষণের দরকার হয় না। বরং, ''পেলে'' শব্দটাই বিশেষণ। সোমবার নানা সময়ে, নানা মানুষের উত্তরে পেলে যা বললেনঃ
হর্ষ নেওটিয়ার প্রশ্ন (অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতার অন্যতম মালিক) : আমরা গতবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন। তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফুটবলার আমাদের কী পরামর্শ দিতে চান, যাতে অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতা আবারও আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়?
পেলের উত্তর : সবসময় বিপক্ষকে সম্মান করতে হবে। প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবা বোকামো। হতেই পারে, আমি বা আমরা সেরা। সবার থেকে ভাল। কিন্তু এটা ভাবার পাশাপাশি এই কথাটাও মাথায় রাখতে হবে যে, সেরারও শেখার থাকে সবসময়। ব্যাস, এটুকু মাথায় রাখলেই বারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়। আমি সেরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ দুর্বল নয়। আর আমাকেও অনেক কিছু শিখতে হবে এখনও।
প্রশ্ন : কেমন লাগল আবারও কলকাতায় এসে?
পেলের উত্তর : দুর্দান্ত। অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে। আমি চিরকাল হৃদয় দিয়ে ফুটবল খেলেছি। এখানেও হৃদয় ভরা ভালোবাসা পেলাম। সব ভালোবাসা ব্রাজিলিওদের জন্য নিয়ে গেলাম। এখানে আগেও এসেছি। কিন্তু এবার এসে নতুন প্রজন্মকে দেখলাম। এজন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেব।
এরপর অ্যাটলেটিকো দ্য কলকাতার অন্য কর্তারা যে যা বললেন --
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় : কোনওদিনও আপনার খেলা দেখনি। হ্যাঁ, তবে পুরনো ভিডিওতে প্রচুর ম্যাচ দেখেছি। আপনার ইংরেজি ফিল্ম, এসকেপ টু ভিকট্রি-ও দেখেছি। আজ আপনাকে সামনে থেকে দেখলাম। খুব ভালো লাগল। কেরল ব্লাস্টারের বিরুদ্ধে আমাদের ম্যাচ দেখতে আশাকরি আপনার খুব ভল লাগবে।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা : পেলের এই সফর ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। আমাদের সকলেই আলাদা আলাদা করে ফুটবল সম্রাটকে স্বাগত জানাতে পারলাম। এর থেকে স্মরণীয় দিন আর জীবনে কী হতে পারে।
হর্ষ নেওটিয়া : আগেরবার যখন পেলে শহরে এসেছিলেন, তখন আমার বাবা তাঁকে দেখার জন্য উন্মুখ হয়েছিলেন। আমি বাবার উত্তেজনা দেখে বুঝতে পারতাম, ঠিক কত বড় ফুটবলার পেলে। আর আজ তাঁকে নিজে চোখে সামনা-সামনি তাঁকে দেখতে পেলাম।
উত্সব পারেখ : আজ মনে হচ্ছে স্বপ্ন সত্যি হল। বরাবর স্বপ্ন দেখতাম, পেলেকে সামনে থেকে দেখার। আর আজ আমি স্বয়ং পেলের পাশে বসে আছি। স্বপ্নকে একদম কাছ থেকে অনুভব করিছ।