ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ, 'স্টিভ' নামে ডাকা হত পূজারাকে

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়র্কশায়ারের প্রাক্তন দুই কর্মী তাজ বাট ও টোনি বাউরিও এই ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রমাণ জমা করেছেন।

Updated By: Dec 5, 2020, 04:57 PM IST
ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ, 'স্টিভ' নামে ডাকা হত পূজারাকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ইয়র্কশায়ারের উপর প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ আনলেন ক্রিকেটার আজিম রফিক। জড়িয়ে গেল ভারতীয় টেস্ট দলের তারকা ক্রিকেটার চেতেশ্বর পূজারার নামও। রফিক বলেন,'ইয়র্কশায়ারের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর ছিল।' একটা সময়ে তিনি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন বলে জানান রফিক। তাঁর সমর্থনে মুখ খোলেন অতীতে ইয়র্কশায়ারে খেলে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার টিনো বেস্ট ও পাকিস্তানের রানা নাভেদ-উল হাসান। তাঁরা ইতিমধ্যেই রফিকের আনা অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ জমা করেছেন তদন্তকারী দলের কাছে।  

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়র্কশায়ারের প্রাক্তন দুই কর্মী তাজ বাট ও টোনি বাউরিও এই ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রমাণ জমা করেছেন। তাঁরা জানান, ভারতীয় তারকা চেতেশ্বর পূজারা যখন ইয়র্কশায়ারের হয়ে খেলতে আসেন তাঁকে স্টিভ বলে ডাকা হত। কারণ তাঁর নাম নাকি সতীর্থরা উচ্চারণ করতে পারতেন না। বাট যুক্ত ছিলেন ইয়র্কশায়ার ক্রিকেট ফাউন্ডেশনের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করেন, এশিয়া থেকে কেউ এলেই তাঁকে ট্যাক্সি ড্রাইভার বা হোটেলের কর্মচারির সঙ্গে তুলনা করা হত। মাত্র ৬ সপ্তাহেই চাকরি ছাড়েন তিনি। 

ইতিমধ্যেই ইয়র্কশায়ার এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড এই নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রফিক জানান, তিনি আগেও এনিয়ে অভিযোগ করেন। কিন্তু তখন শোনার কেউই ছিল না। 
ইয়র্কশায়ার চিরকালই অন্য কাউন্টি ক্লাবগুলি থেকে নিজেদের আলাদা করে রাখে। ১৯৯২ সালের আগে তারা কোনো বিদেশী ক্রিকেটারকে দলে সুযোগও দেননি। এই নিয়ম তারা প্রথম পরিবর্তন করেন যখন ১৯৯২ সালে ভারতের বিস্ময় বালক শচীন তেন্ডুলকরকে সই করান।

আরও পড়ুন- মহিলা ফুটবলারদের ১৪ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটির সিদ্ধান্ত ফিফার

.