Mohsin Khan, IPL 2023: কামব্যাক ম্যাচে দুরন্ত পারফরম্যান্স, বাবাকে উৎসর্গ করলেন মহসিন, কিন্তু কেন?
গত বছর আইপিএল-এর মঞ্চে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল। প্রথমবার এত বড় মঞ্চে নেমেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৪টি উইকেট। এরমধ্যে সেরা পারফরম্যান্স ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টের বাঁহাতি জোরে বোলার মহসিন খান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এভাবেই ফিরে আসা যায়। কয়েক মাস আগের কথা। কাঁধে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করাতে হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর হাসপাতালে বিছানা ছিল তাঁর ঠিকানা। তবে ২০২৩ সালের ১৬ মে ছবিটা একেবারে বদলে গেল। এক সময় চোটে জর্জরিত থাকা মহসিন খান (Mohsin Khan) এক বুক সাহস নিয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে (Mumbai Indians) রুখে দিলেন।
তবে এহেন মহসিনের ক্রিকেট কেরিয়ার তাঁর শেষ হয়ে যেতে পারত। এমনকি চিকিৎসা শুরু করতে আর কিছু দিন দেরি হলে কেটে ফেলতে হতো তাঁর বাঁ হাত। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মুম্বইকে হারানোর পর জীবনের এমনই কঠিন সময়ের গল্প শুনিয়েছেন মহসিন। পুরো সুস্থ হতে না পারায় এবারের আইপিএল-এর (IPL 2023) প্রথম দিকে লখনউ সুপার জায়ান্টের (Lucknow Super Giants) হয়ে খেলতে পারেননি বাঁহাতি জোরে বোলার। খেলতে গিয়েই গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। তাঁর বাঁ কাঁধে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয়। এদিকে আবার ক্রোড়পতি লিগে ফিরলেও, পরিবারের অবস্থা ভালো ছিল না। কারণ ১০ দিন আগে তাঁর বাবা আব্দুল ওয়াহিদ খান হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি ছিলেন। আর তাই এহেন পারফরম্যান্স অসুস্থ বাবাকে উৎসর্গ করেন তিনি।
ম্যাচের শেষে মহসিন বলেন, "দলকে জেতালেও আমার মন-মেজাজ ভালো নেই। কারণ বাবা হাসপাতালের ICU-তে ভর্তি ছিলেন। এই ম্যাচের আগের দিন বাবা বাড়ি ফিরেছেন। আশাকরি বাবা ম্যাচটা দেখেছেন। এবং আমাদের জয় দেখে আনন্দ পেয়েছেন। আসলে আমি তো ওনার জন্যই খেলতে নেমেছিলাম।"
আরও পড়ুন: Sourav Ganguly: Y নয়, এবার থেকে Z ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাচ্ছেন 'প্রিন্স অফ ক্যালকাটা', কিন্তু কেন?
— Lucknow Super Giants (@LucknowIPL) May 17, 2023
এই চোট সারিয়ে মাঠে নামলেও, গত কয়েক মাস খুব সমস্যার মধ্যে কাটিয়েছেন। সেটাও জানাতে ভুলে যাননি এই বাঁহাতি পেসার। মহসিন যোগ করেন, "আল্লার কাছে একটাই প্রার্থনা, আশা করব আমার মতো চোট যেন কেউ না পায়। আঘাত লেগে আমার ধমনীতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার হাতের স্নায়ু সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গিয়েছিল। সেই কঠিন সময়ে উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা, গৌতম গম্ভীর স্যর, রাজীব শুক্লা স্যর, লখনউ ফ্র্যাঞ্চাইজি, সঞ্জীব গোয়েঙ্কা স্যর এবং পরিবারের সকলের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছি। ওঁরা পাশে না থাকলে কামব্যাক করতে পারতাম না।"
গত বছর আইপিএল-এর মঞ্চে তাঁর অভিষেক ঘটেছিল। প্রথমবার এত বড় মঞ্চে নেমেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৪টি উইকেট। এরমধ্যে সেরা পারফরম্যান্স ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। সেই মহসিন চোটের জন্য প্রায় ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনিই যে এভাবে ফিরে আসবেন, সেটা কে জানত!
প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছিল লখনউ। জবাবে রান চেজ করতে নেমে প্রায় জয়ের কাছে চলে এসেছিল মুম্বই। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। ক্রিজে ছিলেন টিম ডেভিড ও ক্যামেরুন গ্রিন। তবে চাপে চুপসে না গিয়ে একটা স্বপ্নের স্পেল করলেন। নিখুঁত ও ঘাতক ইয়র্কারে আটকালেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটারকে। মাত্র পাঁচ রান খরচ করলেন মহসিন। ফলে পাঁচ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ল ক্রুনাল পান্ডিয়ার দল।