পরমাণু বোমা বন্ধক রাখতে হবে পাকিস্তানকে! ভিক্ষা চাইছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ
দাউদ ইব্রাহিমের বেয়াই তিনি। সেই তাঁকেই কিনা শেষমেশ ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— গুরুতর সমস্যা। তেমন হলে নিজেদের পারমাণবিক বোমা বন্ধক রাখতে হবে পাকিস্তানকে। এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। তার মধ্যে নতুন বিপদ করোনাভাইরাস। পাকিস্তানে করোনার প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। এবার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক জাভেজ মিয়াঁদাদ জানিয়েছেন, তাঁর দেশের উপর আবার ঋণের বোঝা চাপতে পারে। আর এবার আইএমএফ—এর মতো সংগঠনের থেকে ঋণ চাইতে গেলে পাকিস্তানের পরমাণু বোমা বন্ধক রাখতে হতে পারে। তাই তিনি পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বাঁচাতে মাঠে নেমে পড়েছেন। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তিনি। তাতে টাকা দেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন মিয়াঁদাদ।
দাউদ ইব্রাহিমের বেয়াই তিনি। সেই তাঁকেই কিনা শেষমেশ ভিক্ষা চাইতে হচ্ছে। মিয়াঁদাদ নিজেই বলেছেন, ''আমি ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছি। আমি আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইছি। আপনারা দয়া করে ওই অ্যাকাউন্টে টাকা দিন। তা না হলে আমরা দেশের পরমাণু অস্ত্র বাঁচাতে পারব না। আগেই আমাদের উপর অনেক ঋণের বোঝা রয়েছে। এবার নতুন করে ঋণ চাইতে গেলে আইএমএফ আমাদের পরমাণু অস্ত্র জমা রাখবে। পাকিস্তানের অনেক মানুষ নিজের দেশকেই নির্বিচারে লুঠেছে। এবার আমাকে ভিক্ষা দিয়ে তারা নিজেদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুক। বিদেশে থাকা পাকিস্তানি জনগণের কাছেও আমার অনুরোধ রইল। আপনারাও কর্তব্যের পালন করুন।''
پوری دنیا میں پاکستانی بھائیوں سے اپیل: پاکستان کا قرضہ ہم عوام کو مل کر ہی اتارنا ہوگا، پاکستان کا قرض اتارنے میں میری مدد کریں، ویڈیو مکمل ملاحظہ فرمائیں.#Debt #JavedMiandad #LoanFreePakistan pic.twitter.com/tlZGTt9eed
— Javed Miandad (@I_JavedMiandad) May 8, 2020
মিয়াঁদাদ আরও বলেন, ''আমার নতুন অ্যাকাউন্ট ইন্টারন্যাশনাল। আর সেটার ব্যবহার শুধু আমি করব। আইএমএফ—এর ঋণ আমাদের চোকাতে হবে। আপনারা সবাই ওই অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে কিছু কিছু করে টাকা দিন। মনে রাখবেন পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র বন্ধক রাখতে হলে কিন্তু বড় বিপদ নেমে আসবে।'' প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে জাভেদ মিয়াঁদাদের সম্পর্ক কোনওকালেই ভাল ছিল না। ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পর তাঁকে প্রাপ্য পারিশ্রমিক মেটাননি ক্যাপ্টেন ইমরান। এমন অভিযোগ করেছিলেন মিয়াঁদাদ। এছাড়া ইমরান খানের জন্যই তিনি ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন বলেও জানা যায়।