Virat Kohli, Anushka Sharma: 'বিরাটের ডিপ্রেশনের জন্য দায়ী অনুষ্কাই'!
কেআরকে লেখেন, 'বিরাট কোহলি ভারতের প্রথম ক্রিকেটার যাঁর ডিপ্রেশন নিয়ে সমস্যা হয়েছে। একজন হিরোইনকে বিয়ে করলে এই পরিণামই হয়। বিরাটের স্ত্রী ওঁর মাথায় ড্রিপ্রেশনের সমস্যা ঢুকিয়েছে।' অপর একটি ট্যুইটে কেআরকে লেখেন, 'বিরট কোহলি উত্তর ভারতের একজন শক্তিশালী ছেলে। তাঁর ড্রিপ্রেশনের রোগ হল কী করে! এর ওপর তো ভিডিয়ো করা উচিত! আমি কি ভিডিয়ো করব?'
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এশিয়া কাপে (Asia Cup) নামার আগেই বিরাট কোহলি (Virat Kohli) মন খুলে মনের সমস্যার কথা বলেছিলেন অকপটে। সাফ জানিয়েছেন যে, তিনি 'ডিপ্রেশন'-এ ভুগেছেন দীর্ঘদিন। কোহলির মানসিক সমস্যার জন্য় তাঁর অভিনেত্রী-প্রযোজক স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে (Anushka Sharma) সরাসরি দায়ী করলেন স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক তথা অভিনেতা কামাল রশিদ খান, ওরফে কেআরকে (KRK)! ইন্দো-পাক ম্যাচের আগেই ট্যুইটারে একের পর এক বোমা ফাটালেন কেআরকে!
কেআরকে লেখেন, 'বিরাট কোহলি ভারতের প্রথম ক্রিকেটার যাঁর ডিপ্রেশন নিয়ে সমস্যা হয়েছে। একজন হিরোইনকে বিয়ে করলে এই পরিণামই হয়। বিরাটের স্ত্রী ওঁর মাথায় ড্রিপ্রেশনের সমস্যা ঢুকিয়েছে।' অপর একটি ট্যুইটে কেআরকে লেখেন, 'বিরট কোহলি উত্তর ভারতের একজন শক্তিশালী ছেলে। তাঁর ড্রিপ্রেশনের রোগ হল কী করে! এর ওপর তো ভিডিয়ো করা উচিত! আমি কি ভিডিয়ো করব?' এখানেই শেষ নয়। কেআরকে নির্বাচকদেরও এক হাত নিয়েছেন বিরাটকে এশিয়া কাপের দলে নেওয়ার জন্য। কেআরকে লেখেন, 'আমি এটা বুঝতে পারছি না যে, বিরাট কোহলি নিজে যখন ডিপ্রেশনের সমস্যা মেনে নিয়েছে, তাহলে কী করে ও এশিয়া কাপের দলে থাকল! নির্বাচকদেরও কী ডিপ্রেশনের সমস্যা হচ্ছে?'
আরও পড়ুন: Virat Kohli, Asia Cup 2022: কোহলি কি শেষ অডিশন দিচ্ছেন? পরামর্শের ছলে কপিলের মারাত্মক খোঁচা
কোহলি এশিয়া কাপের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে, মনের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রসঙ্গে বলছেন, '১০ বছরে এই প্রথম, প্রায় মাসখানেক ব্যাট ছুঁয়ে দেখিনি। একটা জিনিস উপলব্ধি করেছি, সম্প্রতি আমার মনে হচ্ছিল যে, আমি কি খিদেটা হারিয়ে ফেলেছি? কোথাও কি নকল কিছু ঘটছে! পরে আমি আশ্বস্ত হই যে, না আমার মধ্যে সেই একই খিদে আছে। কিন্তু আমার শরীর থামতে বলছিল, মন বলছিল একটা ব্রেক নিয়ে, এক ধাপ পিছিয়ে যেতে। আমি মানসিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী একজন মানুষ। কিন্তু সকলের একটা সীমা রয়েছে। সেটা চিনে নিতে হয়। নাহলে বিষয়টি অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। এই সময়তে আমি অনেক কিছু শিখেছি। যেগুলোকে আমি কাছে আসতে দিচ্ছিলাম না। যখন এল, আমি জড়িয়ে নিলাম। মানসিক ভাবে আমি ভেঙে পড়েছিলাম। এটা বলতে কোনও লজ্জা নেই। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু আমরা এই নিয়ে কথা বলতে ইতস্তত বোধ করি। আমরা মানসিক ভাবে দুর্বল, সেটা কেউ দেখাতে চাই না। বিশ্বাস করুন মানসিক দুর্বলতা স্বীকার করে নেওয়ার চেয়ে, মানসিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার অভিনয় করা জঘন্য।' কোহলির এই বক্তব্য কার্যত সর্বত্র আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।