Kylian Mbappe On Pele: এমবাপেকে 'প্রিয় বন্ধু' বলতেন পেলে, 'রাজা'র প্রয়াণে বিধ্বস্ত ফরাসি তারকা
Kylian Mbappe On Pele: পেলের সঙ্গেই যেন জুড়ে রয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপের মঞ্চে কখনও পেলেকে স্পর্শ করেছেন এমবাপে, তো কখনও পেলেকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি। পেলের প্রয়াণে আজ বিধ্বস্ত এমবাপে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: শুরুটা সেই ২০১৮ সালে। রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকেই কিংবদন্তি পেলের (Pele) নজর কেড়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। কখনও পেলে এমবাপেকে নিজের 'সঙ্গী' বলেছেন, তো কখনও বলেছেন 'বন্ধু'। একাধিকবার দেখা হয়েছে পেলে-এমবাপের। আজ পেলের প্রয়াণে বিধ্বস্ত এমবাপে। চব্বিশ বছরের ফুটবলার আবেগি পোস্টে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছেন পেলেকে। এমবাপে লিখেছেন, 'ফুটবলের রাজা আমাদের ছেড়ে গেল ঠিকই, কিন্তু তাঁর উত্তরাধিকার কখনও ভোলা যাবে না। আরআইপি কিং।'
১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেছিলেন পেলে। ৬০ বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ১৯ বছর বয়সে গোল করে, পেলের পাশে নাম লিখিয়ে ছিলেন এমবাপে। বিশ্বকাপ ফাইনালের ৬৫ মিনিটে এমবাপে গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই '৫৮ বিশ্বকাপের স্মৃতি ফিরে এসেছিল মস্কোতে। এমবাপের গোলের পরেই টুইট করেছিলেন পেলে। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, "দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করার ক্লাবে তোমাকে স্বাগত এমবাপে। তোমাকে নিজের সঙ্গী হিসেবে পেয়ে আপ্লুত।" পাশাপাশি মজার ছলে পেলে বলেছিলেন," যদি এইভাবে এমবাপে আমার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলে, তাহলে তো আমাকে আবার বুট থেকে ধুলো ঝেড়ে ফেলতে হবে ..." এমবাপে যেন আবার মাঠে নামার কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন পেলেকে।
আরও পড়ুন: Neymar On Pele: 'পেলের আগে ১০ শুধুই একটি সংখ্যা ছিল!' নেইমারের আবেগি শ্রদ্ধা চোখ ভেজাবে
কাট টু ২০২২ বিশ্বকাপ। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে পেলে দেখেছেন বিশ্বকাপ। এমবাপে পেলের আরোগ্য কামনায় ট্যুইটও করেছিলেন। আর ট্যুইটের কয়েক ঘণ্টা পর সেই পেলেকেই টপকে গিয়েছিলেন এমবাপে। কাতারে সব থেকে কম বয়সে বিশ্বকাপে ৮টি গোল করার রেকর্ড ছিল পেলের। তাঁকেই টপকে যান এমবাপে। গোলসংখ্যায় মারাদোনাকেও টপকে যান এমবাপে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর পেলে লিখেছিলেন, ‘আজ, ফুটবল তার গল্প বলে চলেছে বরাবরের মতো একটি চিত্তাকর্ষক উপায়ে। মেসি তার প্রথম বিশ্বকাপ জেতা, তার প্রাপ্য। আমার প্রিয় বন্ধু, এমবাপে, ফাইনালে চার গোল করেছেন। আমাদের খেলাধুলার ভবিষ্যতের জন্য এই খেলা দেখা অসাধারণ একটি উপহার ছিল। এবং আমি অবিশ্বাস্য খেলার জন্য মরক্কোকে অভিনন্দন জানাতে ভুলতে পারি না। আফ্রিকার জ্বলে উঠতে দেখে দারুণ লাগছে। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা! অবশ্যই দিয়েগো এখন হাসছে’। পেলে নেই, কিন্তু তাঁর পোস্টগুলি রয়ে যাবে।