Lionel Messi: মেসির আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের স্মৃতি ধরে রাখতে কোন বিশেষ উদ্যোগ নিল কাতার বিশ্ববিদ্যালয়?
বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ফাইনাল। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলেছিল খেলার রং। প্রথমার্ধে মেসি ও আঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৮০ ও ৮২ মিনিটে জোড়া গোল করেছিলেন ফ্রান্সের তারকা। অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন মেসি।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোনও বিলাসবহুল হোটেল নয়। বরং বিশ্বকাপে (FIFA World Cup 2022) জন্য নিজেদের মতো অনুশীলন সারতে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়কে (Qatar University) বেছে নিয়েছিল আর্জেন্টিনা (Argentina)। এরপর তো বাকিটা ইতিহাস। দীর্ঘ ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে বিশ্বজয়ী হয়েছে লিওনেল স্কালোনির (Lionel Scaloni) দল। তাই লিওনেল মেসি (Lionel Messi)-অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াদের (Angel Di Maria) সাফল্যের মুহূর্তকে ধরে ও মনে রাখতে একটি মিউজিয়াম (Museum) তৈরি করতে চাইছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘরে ছিলেন স্বয়ং মেসি, সেই ঘরটিও বদলে ফেলা হবে ছোটখাটো মিউজিয়ামে। এমনটাই জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম এল গ্রাফিকো।
আর্জেন্টিনীয় জাতীয় দল যেসব ঘরে ছিল, সেই ঘরগুলোর কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়। একাধিক ছবি প্রকাশ করেই জানানো হয়েছে মেসি যে রুমে ছিলেন সেই বি-২০১ রুম বদলে ফেলা হবে প্রদর্শনীশালায়। তবে সেই মিউজিয়াম একই কমপ্লেক্স থেকে নাকি অন্য কোনও স্থান থেকে পরিচালনা করা হবে, সেটা জানানো যায়নি।
— The Peninsula Qatar (@PeninsulaQatar) December 27, 2022
আরও পড়ুন: Lionel Messi: বিশ্বজয়ী মেসির সই করা জার্সি উপহার পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত ধোনিকন্যা জিভা
আরও পড়ুন: Emiliano Martinez: বাঁ পায়ে বিশ্বকাপের ট্যাটু, ফের শিরোনামে এমি মার্টিনেজ
পাঁচতারা অভিজাত হোটেলের বদলে কাতার ইউনিভার্সিটিতে মেসিদের থাকার আর একটি উদ্দেশ্য ছিল যাতে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী বিফ বার্বিকিউ বানানো যায় ইচ্ছামত। সেই কারণেই টন টন প্যাকেটজাত গো-মাংস নিয়ে আসা হয়েছিল আর্জেন্টিনা থেকে। একদম প্রথাগত আর্জেন্টিনীয় স্টাইলে যাতে রান্না করা হয়, তা দেখভাল করার জন্য শ্যেফও নিয়ে এসেছিলেন মেসিরা।
রুদ্ধশ্বাস মহাকাব্যিক ফাইনালে অবশেষে জয়। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে দিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁয়েছিলেন মেসি। কিলিয়ান এমবাপের লড়াইয়ের পরেও ফাইনাল জিতেছিল আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে সেই আর্জেন্টিনার ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ফাইনাল। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলেছিল খেলার রং। প্রথমার্ধে মেসি ও আঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ৮০ ও ৮২ মিনিটে জোড়া গোল করেছিলেন ফ্রান্সের তারকা। অতিরিক্ত সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করলেন মেসি। খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছিলেন এমবাপে। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হয়েছিল ফাইনালের ফয়সালা। সেখানে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে কাতার ছেড়েছিল আর্জেন্টিনা।