স্বপ্নের আঁতুরঘর: মনিপুর বক্সিং অ্যাকাডেমি
মনিপুরের বক্সিং অ্যাকাডেমি থেকে শেখা বক্সিংয়ের প্রথম পাঠ। ১২ বছর আগে মুষ্ঠিযুদ্ধে নিপুন হয়ে ছোট গ্রাম খাঙ্গাতেই থেকে উঠে আসা মেরি কম আজ ভারতের গর্ব। কিন্তু ভুলে যাননি তাঁর লড়াই। মনিপুরের লঙ্গোল গ্রামেই তিনি গড়ে তুলেছেন অ্যাকাডেমি।
মনিপুরের বক্সিং অ্যাকাডেমি থেকে শেখা বক্সিংয়ের প্রথম পাঠ। ১২ বছর আগে মুষ্ঠিযুদ্ধে নিপুন হয়ে ছোট গ্রাম খাঙ্গাতেই থেকে উঠে আসা মেরি কম আজ ভারতের গর্ব। কিন্তু ভুলে যাননি তাঁর লড়াই। মনিপুরের লঙ্গোল গ্রামেই তিনি গড়ে তুলেছেন অ্যাকাডেমি। কেমন চলছে মেরি কমের বক্সিং অ্যাকাডেমি? যেই অ্যাকাডেমি থেকে মেরির বক্সিং শেখা সেই সাই অ্যাকাডেমিও বা কেমন?
মনিপুরের সাই অ্যাকাডেমি উত্তর-পূর্ব ভারতের বক্সিং শিক্ষার্থীদের আতুঁড়ঘর। এখন মোট ২৫ জন মেয়ে হস্টেলে থেকে বক্সিং শেখেন। কিন্তু এমনটা ছিলনা যখন মেরি কম এই সাই অ্যাকাডেমিতে এসেছিলেন আজ থেকে ১২ বছর আগে। মেরি কম ছিলেন প্রথম মহিলা যিনি এই অ্যাকাডেমির বক্সিং কোচ ইবোমচা সিংয়ের কাছে শিখতে চেয়েছিলেন বক্সিং। হতে চেয়েছিলেন মনিপুর বক্সিংয়ের আরেক গর্ব ডিঙ্গো সিংয়ের মত। প্রথমে তাঁকে ফিরিয়ে দিলেও পরে মেরিকে শেখাতে রাজি হন কোচ। অলিম্পিকে প্রিয় ছাত্রীর ব্রোঞ্জ জয় দেখতে দেখতে কোচ ইবোমচা নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছিলেন। মেরির পর এখানে আরও মহিলা বক্সার এসেছেন, শিখেছেন, কম বেশি সাফল্যও পেয়েছেন। কিন্তু মেরি কম কেউ হতে পারেননি।
মনিপুরের মানুষের কাছে মেরি আইকন। কিন্তু সরকার মুখ ফিরিয়েও তাকায়নি। বক্সিং রিংয়ের ভেতরের মত বাইরেও মেরি কোন প্রতিবন্ধকতার দিকে তাকাননি। স্থানীয় এক সেনাকর্তার কাছ থেকে সাহায্য হিসেবে পেয়েছেন জিমের সরঞ্জাম। বাড়ির উল্টোদিকে পেয়েছেন একফালি জমি। যেখানে ১৮ জন আবাসিককে নিয়ে চলে দিনরাত অনুশীলন। এই মানসিকতাই নিজের ছাত্রছাত্রীদের মজ্জায় প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন মেরি কম। অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জিতলেও অবসর এখনই না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মেরি। বক্সিং রিংয়ে নিজের লড়াইয়ের সঙ্গে তাঁকে তো চালিয়ে যেতে হবে আরও ভবিষ্যতের মেরি কম তৈরির কাজও।