আজব কাণ্ড! ওভারের সাত নম্বর ডেলিভারিতে আউট ব্যাটসম্যান, বিতর্ক
স্কর্চার্স কোচ অ্যাডাম ভজ বেজায় চটেছেন আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : এক ওভারে ক'টা ডেলিভারি? বিগ ব্যাশ লিগে এমন প্রশ্ন করলে আপনি অপ্রত্যাশিত জবাব পেতে পারেন! হেঁয়ালি নয়। অস্ট্রেলিয়ার এই টুর্নামেন্টে এখন সাত বলে ওভার হচ্ছে। বিশ্বাস না হলে শুনুন তবে! পার্থ স্কর্চার্স বনাম সিডনি সিক্সার্স-এর ম্যাচ চলছিল। সেই ম্যাচে মাইকেল ক্লিঞ্জার আউট হলেন ওভারের সাত নম্বর ডেলিভারিতে। এমনিতেই এবার একের পর এক বিতর্কিত কাণ্ড চলছে বিগ ব্যাশে। একে তো এবারের সংস্করণে ব্য়াট দিয়ে টস করার প্রথা চালু হয়েছে সেখানে। তার উপর টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে এক ম্যাচে বল স্টেডিয়ামের ছাদে গিয়ে লাগলে আম্পায়ার ছক্কা ঘোষণা করেছিলেন। তা নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। আর এবার এমন কাণ্ড!
আরও পড়ুন- আইপিএলে রাজস্থানের দায়িত্বে ফিরলেন প্যাডি আপটন
স্কর্চার্সের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এমন কাণ্ড ঘটে। অ্যাস্টন টার্নারের দল ১৭৮ রান তাড়া করতে নেমেছিল। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। দ্বিতীয় ওভারেই তাদের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাইকেল ক্লিঞ্জার আউট হয়ে যান। পাঁচ বলে দুই রান করে স্টিভ ও'কিফের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তবে ক্যাচটা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। তাই মাঠের আম্পায়াররা তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্লিঞ্জার পরিষ্কার আউট। মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে 'আউট'। এরই মধ্যে মাঠের আম্পায়ার বা ক্রিকেটার, কেউই খেয়াল করেননি যে সেটা ছিল ওভারের সপ্তম ডেলিভারি। বেন ডারসুইস এর আগে ছটা ডেলিভারি করে ফেলেছিলেন। আম্পায়াররা এর পর সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেননি। ফলে ক্লিঞ্জার্স আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচটা সাত বল বাকি থাকতেই জিতে নিয়েছে স্কর্চার্স। তবে এই সাত নম্বর বলে আউট নিয়ে বিস্তর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠছে মাঠে আম্পায়ারদের অপেশাদার মনোভাব নিয়ে।
আরও পড়ুন- জাতীয় দলে অভিষেকের জন্য নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে ভালো জায়গা হতেই পারে না : শুভমান গিল
স্কর্চার্স কোচ অ্যাডাম ভজ বেজায় চটেছেন আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, ''ওভারের বল গোনাটা আম্পায়ারের কাজ। সেটাও তাঁরা ঠিকঠাক করতে পারছেন না। তাঁদের ভুলে আমাদের ভুগতে হচ্ছে।'' প্রসঙ্গত, প্রথমে ব্যাট করে এই ম্যাচে সিডনি সিক্সার্স পাঁচ উইকেটে ১৭৭ রান করেছিল। স্কর্চার্সের ক্যামেরন ব্যানক্রফট ৬১ বলে ৮৭ রান করেছেন। টার্নার করেছেন ৩০ বলে ৬০।