দেশে ফিরেই ফুল নিয়ে বাবার কাছে Mohammed Siraj
২০ নভেম্বর, ২০২০। সিডনিতে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় বাবার মৃত্যুর খবর পান মহম্মদ সিরাজ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় দলের জার্সিতে টেস্ট খেলা। যে কোনও ক্রিকেটারের স্বপ্ন। শৈশবের সেই লালিত স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দেওয়ার মুহূর্তে জীবনের সব থেকে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। বাবার মৃত্যু, শেষ যাত্রায় তাঁর পাশে থাকতে না পারা নিশ্চয়ই তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। বুকে পাথর চেপে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারার আনন্দ হয়তো শক্তি দিয়েছে মহম্মদ সিরাজকে। সিডনিতে জাতীয় সঙ্গীত শুনে বাবার কথা মনে পড়তেই চোখে জল এসে গিয়েছিল তাঁর। ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরে বাড়ি না গিয়ে সোজা বাবার সমাধিস্থলে চলে যান তিনি।
India's hero #Siraj paying homage at the grave of his father Mohd Ghouse who passed away when he was on tour outside the country; the son has returned after fulfilling the father's much cherished dream to see his son play for the country & make it win @ndtv @ndtvindia #MohdSiraj pic.twitter.com/X44GUc2WdX
— Uma Sudhir (@umasudhir) January 21, 2021
অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সোজা বাবার সমাধিস্থলে চলে যান মহম্মদ সিরাজ। হায়দরাবাদে সমাধিস্থলে গিয়ে গোলাপ দিয়ে বাবাকে শ্রদ্ধা জানান সিরাজ। সেখানে নমাজ পড়েন তিনি।
২০ নভেম্বর, ২০২০। সিডনিতে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় বাবার মৃত্যুর খবর পান মহম্মদ সিরাজ। পিতৃবিয়োগেও অগ্রাধিকার জাতীয় কর্তব্য। তাই তো অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে না এসে বাবার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে থেকে যান সিরাজ। ছেলে দেশের হয়ে খেলুক- আজীবন এই একটা স্বপ্নই যে মনে লালন করেছিলেন সিরাজের বাবা মহম্মদ ঘাউস।
আরও পড়ুন -দেশের প্রতি দায়বদ্ধতাই সিডনির লড়াইয়ের মন্ত্র : Hanuma Vihari
অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি সুযোগ পাননি। মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক হয় মহম্মদ সিরাজের। হায়দরাবাদের পেসার অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। এসবের মাঝেই সিডনি আর ব্রিসবেনে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন সিরাজ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি টেস্ট খেলে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ব্রিসবেনে শেষ টেস্টে অজিদের দ্বিতীয় ইনিংসে জীবনে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নিয়ে প্রায় একার হাতেই শেষ করেন স্মিথদের। দলের সব সিনিয়র বোলারদের অনুপস্থিতিতে বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নেন তিনি।
আরও পড়ুন - বীরের সম্মানে বরণ Ajinkya Rahane-কে