আই লিগ জয়েই কী বাগান ফিরিয়ে আনল ফুটবলের শৌর্য?

সবেমাত্র আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান। বিমান বন্দর থেকে ক্লাবতাঁবুতে পৌছতে সময় লেগেছে চার ঘণ্টারও বেশি। সবুজ মেরুন শিবির  ছাপিয়ে জয়োল্লাসে মেতেছে বাঙালি। ক্রিকেটের বিস্তারে ক্রমেই মুখ ঢাকছে ফুটবল। মোহনবাগানের এই জয় কি বাঙালির সেরা খেলাকে আবার তার হারানো আসন পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে? সত্যিই কি আবার বলা যাবে সব খেলার সেরা?

Updated By: Jun 3, 2015, 04:35 PM IST
আই লিগ জয়েই কী বাগান ফিরিয়ে আনল ফুটবলের শৌর্য?

ওয়েব ডেস্ক: সবেমাত্র আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহনবাগান। বিমান বন্দর থেকে ক্লাবতাঁবুতে পৌছতে সময় লেগেছে চার ঘণ্টারও বেশি। সবুজ মেরুন শিবির  ছাপিয়ে জয়োল্লাসে মেতেছে বাঙালি। ক্রিকেটের বিস্তারে ক্রমেই মুখ ঢাকছে ফুটবল। মোহনবাগানের এই জয় কি বাঙালির সেরা খেলাকে আবার তার হারানো আসন পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে? সত্যিই কি আবার বলা যাবে সব খেলার সেরা?

একটা জয়। 
অসংখ্য আবেগ। আর তার মধ্যে থেকে উঠে আসা এক বলিষ্ঠ বার্তা। তা হল, এভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো যায়।  
সত্যি। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইই বটে! অস্তরাগের আলোয় ভেজা বাংলার ফুটবলে এ যেন রেজারেকশন! এক অত্যাশ্চর্য পুনরুত্থান! কথায় বলে ফুটবল শরীরী খেলা। প্রতিটি পাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে শৌর্য। সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের আঁতুড়ঘর বাংলা এহেন ফুটবলকে ভালবেসেছিল। দেশভাগ, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষ। আঘাত এসেছে অনেক। কিন্তু বাঙালির মনে, বাঙালির পায়ে আঠার মতো লেগেছিল ফুটবল।   

নয়ের দশকের গোড়ার দিক পর্যন্ত ভারতীয় ফুটবলকে শাসন করত বাংলা। জাতীয় দলের এগারো জনে বাংলা থেকে সাত-আটজন থাকতই। কিন্তু ক্রিকেটের রাহুগ্রাসে নয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে ছবিটা বদলাতে শুরু করে। একা সৌরভের হাত ধরে বাংলার ক্রীড়া আঙিনায় শুরু হয় ক্রীকেটীয় রাজ। দক্ষ ক্রিকেট প্রশাসকদের দূরদর্শিতা ও চিন্তাভাবনা তা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। 

উইলোর ঝলকানিতে ম্লান হতে থাকে তিন কাঠির লড়াই। ফুটবল প্রশাসকদের দূরদর্শিতার অভাব, পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন না ঘটানো, বিপণনে ব্যর্থতা, সব মিলিয়ে কোমাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বাংলার ফুটবল। 

এই অস্তিত্ব সঙ্কট থেকে বেরোতে প্রায় দেড় দশক ধরে লড়ছে বাংলার ফুটবল। গর্ব করার মতো শেষ সাফল্য বলতে ছিল ২০০৩-০৪ সালে ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে আই লিগ জয়। দুএকটা ফেডারেশন কাপ বাদ দিলে তারপরের এগারো বছর বলতে গেলে শুধুই খরা। ভারতীয় ফুটবলে বাংলার ফুটবল যখন অস্তমিত, ঠিক এমন একটা সময়ে দখিনা বাতাস নিয়ে এল মোহনবাগানের আই লিগ জয়। গর্বে ছাতি চওড়া হল বাঙালির। 

সৌরভের জন্য গলা ফাটিয়েছে। কেকেআরের জয়ে কোমর দুলিয়েছে। সেই বাঙালি রাজপথে নেমে বাংলার ফুটবলের জয় সেলিব্রেট করল প্রাণভরে। 

.