বিদায় বেলায় কেঁদে ফেললেন মরগ্যান
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হাত দুটো উপরে তুলে ফেললেন। তারপর মাঠে ফিরে একে একে ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানালেন। উত্সব করলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বললেন। তখনও বোঝা যায়নি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হতে চলা মরগ্যান ঠিক কতটা আবেগ তাড়িত। সেটা বোঝা গেল ট্রফি হাতে টিম বাসে ওঠার পর। টিম বাসে ওঠার পর মরগ্যান কেঁদে ফেললেন। দলের ফুটবলারদের বললেন, থ্যাঙ্ক ইউ বয়েজ।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর হাত দুটো উপরে তুলে ফেললেন। তারপর মাঠে ফিরে একে একে ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানালেন। উত্সব করলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বললেন। তখনও বোঝা যায়নি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হতে চলা মরগ্যান ঠিক কতটা আবেগ তাড়িত। সেটা বোঝা গেল ট্রফি হাতে টিম বাসে ওঠার পর। টিম বাসে ওঠার পর মরগ্যান কেঁদে ফেললেন। দলের ফুটবলারদের বললেন, থ্যাঙ্ক ইউ বয়েজ।
ইস্টবেঙ্গলে শেষ হল মরগ্যান জমানা। ম্যাচ শেষে এই নাটকীয় মূহূর্ত যে অপেক্ষা করে আছে তার জন্য প্রস্তুত ছিলেননা কেউই । অনেকটা একবছর আগে টোলগের ম্যাচ জিতিয়ে মোহনবাগানের ডেরায় যাওয়ার মত! লিগের হ্যাটট্রিক করে মরগ্যান ঘোষণা করলেন তিনি বিদায় জানাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলকে।
গুঞ্জন ছিলই। অপেক্ষা ছিল সরকারি ঘোষণার। কিন্তু কলকাতা ক্লাবগুলির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সটান ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সেই বিদায়ের কথা জানিয়ে দিলেন মরগ্যান। এতদিন ময়দানের রেওয়াজ ছিল, কোচ বিদায়ের কথা কর্তারা ঘোষণা করেন। এবার হল একেবারে উল্টো। আর পাঁচটা দিনের মত ভাবলেশহীন মুখে ক্লাবকে বিদায় জানিয়ে নিজের গাড়ির দিকে হাঁটলেন মরগ্যান।
তখনও বাইরের কয়েকশো সমর্থক জানেন না তাঁদের প্রিয় মরগ্যান স্যার বাইবাই করেছেন লাল হলুদ রঙকে। মরগ্যানের পায়ে ধরে থেকে যাওয়ার আকুল আবেদন। হাসি মুখে সেই আবেদন নিজের মনে নিয়েই স্টার্ট দিলেন গাড়িতে!!!!বিদায় মেহতাব-চিড্ডি! বিদায় ইস্টবেঙ্গল! শুধু সঙ্গী হল তিনটে বছরে জেতা আটটি ট্রফি ।
চৌত্রিশবার কলকাতা লিগ খেতাব জিতল ইস্টবেঙ্গল। মরগ্যান জমানায় লিগজয়ের হ্যাটট্রিক করল লাল হলুদ শিবির। একঝলকে দেখে নেব কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের রেকর্ড।
এই নিয়ে চৌত্রিশবার লিগ খেতাব ইস্টবেঙ্গলের। যার মধ্যে ১৯৭০ থেকে পঁচাত্তর সাল পর্যন্ত কলকাতা লিগে ডাবল হ্যাটট্রিক।
লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক চারবার।