দিয়েগোর সঙ্গে তুলনা কৃশানু দে’র! মার্কিন পত্রিকায় বাঙালির মারাদোনার স্মৃতিচারণ

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের একটি প্রতিবেদনে পরবর্তী মারাদোনা কে বা কে হতে পারতেন, তাই নিয়ে একটি আলোচনা করেছে।

Updated By: Dec 5, 2020, 06:25 PM IST
দিয়েগোর সঙ্গে তুলনা কৃশানু দে’র! মার্কিন পত্রিকায় বাঙালির মারাদোনার স্মৃতিচারণ

নিজস্ব প্রতিবেদন- আমেরিকার দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে তুলনা করা হল প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার কৃশানু দে’র। নিশ্চিত ভাবেই ভারতীয় ফুটবলের জন্য এক অনন্য সম্মান। কৃশানু দে মাত্র ৪১ বছর বয়সে ২০০৩ সালে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর এত বছর পরেও ভারতীয় ফুটবল তাঁকে মনে রেখেছে। তাঁর বাঁ পায়ের ফুটবলে মোহিত ছিল আপামর বাংলার ফুটবলপ্রেমী। তিনিই ছিলেন বাঙালীর মারাদোনা।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের একটি প্রতিবেদনে পরবর্তী মারাদোনা কে বা কে হতে পারতেন, তাই নিয়ে একটি আলোচনা করেছে। বিভিন্ন দেশের একাধিক ফুটবলারের নাম উঠে এসেছে, যাঁরা মারদোনা পরবর্তী যুগে মারাদোনা হতে পারতেন।  বেশীরভাগ মারাদোনা পরবর্তী যুগের মারাদোনা আর্জেন্তিনীয়। তবে অন্য দেশেরও ফুটবলারদের নাম উঠে এসেছে। ১৯৯৪ সালে আরিএল ওর্তেগাকে প্রথম মারাদোনার সঙ্গে তুলনা করা শুরু হয়। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই নতুন মারাদোনার নাম শোনা যেতে থাকে। আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের মধ্যে ওর্তেগার পর পাবলো আইমার, জুয়ান রিকেলমে ও আন্দ্রে ডি আলেসান্দ্রোকে মারাদোনার সঙ্গে তুলনা করা হতে থাকে। আলেসান্দ্রোকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন স্বয়ং মারাদোনাও। 

মারাদোনা নিজেও তাঁর উত্তরসূরী খুঁজেছেন। যদিও তার পছন্দ বারবার পরিবর্তন হয়েছে। জেভিয়ার স্যাভিওলাকে নিয়ে একসময় তিনি উৎসাহিত ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কার্লোস তেভেজকে একুশ শতকের আর্জেন্টিনার পথ-প্রদর্শক বলে মনে করেন তিনি। অন্যান্য দেশের ফুটবলারদের মধ্যে কলম্বিয়ার ভালদেরামা, রোমানিয়ার ঘিওর্ঘে হাজি, ইরানের আলি করিমী ও ভারতের কৃশানু দের নাম বারবার উঠে এসেছে।  ২০০১ সালে বার্সেলোনাতে সই করার পর স্যাভিওলা বলেছিলেন, পৃথিবীতে আর কোনো মারদোনা আসবে না। হয়তো তাঁর কথাই সত্যি। সত্যিই মারাদোনা এক এবং অদ্বিতীয়।

আরও পড়ুন-  মহিলা ফুটবলারদের ১৪ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটির সিদ্ধান্ত ফিফার

বর্তমানে লিওনেল মেসি হয়তো মারাদোনার সবথেকে কাছে পৌছতে পেরেছেন। মেসিও আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি পরে অধিনায়কত্ব করেন। দুজনের খেলায় অনেক মিল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে মারাদোনা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা হিসেবে চিহ্নিত যে গোলটি করেন ঠিক একইরকম গোল মেসিও করেন ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার হয়ে গেতাফের বিরুদ্ধে। তবে মেসির এখনও বিশ্বকাপ জেতা বাকি। মেসি নিজেও স্বীকার করেছেন, মারাদোনা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার। 
চলে গিয়েছেন দিয়েগো মারাদোনা। রেখে গিয়েছেন অগণিত স্মৃতি। তার ফুটবল যাদুতে মোহিত ছিলেন সমগ্র পৃথিবীর আপামর ফুটবল জনতা। কিন্তু পরের মারাদোনা কে?  তাঁর উত্তর হয়তো সত্যিই নেই। তবে বাংলা জানে, তারাও মারাদোনাকে দেখেছেন চোখের সামনে ফুটবল খেলতে! লাল-হলুদ ও সবুজ-মেরুন দুই জার্সিতেই। তিনি কৃশানু দে, বাঙালির মারাদোনা।

.