Pele Passes Away: `ফুটবল সম্রাট` পেলেকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন হুবহু `আর এক পেলে!`, ভিডিয়ো ভাইরাল
পেলে-র খুবই প্রিয় স্যান্টোসের জার্সি গায়ে চাপিয়ে রিবেইরো এসেছিলেন। তিনি আসলে তাঁর `আইডল`-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়স থেকে মানবতার জন্য কাজ করে এসেছেন সদ্য প্রয়াত পেলে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিংবদন্তি পেলের (Pele) শেষকৃত্যে উপস্থিত হয়েছিলেন ফিফা সভাপতি (FIFA President) জিয়ান্নি ইনফান্তিনো (Gianni Infantino)। ব্রাজিলের (Brazil) সভাপতি লুলা ডা সিলভা, কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগুয়েস-সহ ফুটবল, রাজনীতি, বিনোদন জগতের একাধিক মানুষ। তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী পেলের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে স্যান্টোস স্টেডিয়ামের (Santosh FC) বাইরে ছিল অগণিত মানুষের ভিড়। তবে এত ভিড়েও ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে আলাদা ভাবে নজর কাড়লেন নিকানোর রিবেইরো (Nicanor Ribeiro)। যিনি গোটা ব্রাজিলের কাছে 'আর এক পেলে' নামে পরিচিত!
আসলে রিবেইরো দেখতে হুবহু পেলের মতো দেখতে। রাস্তার হাজারো মানুষ সেলফি তুলছিলেন রিবেইরোর সঙ্গে। ব্রাজিলিয়ান দৈনিক রিও টাইমসকে রিবেইরো বলেন, '১৯৯৬ সালে প্রথমবার পেলের সঙ্গে দেখা হয় আমার। ২০০২ সালে পেলে আমার জীবন বদলে দিয়েছিলেন। তাঁকে নিয়ে তৈরি হওয়া তথ্যচিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম। এমন তিনটি তথ্যচিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম। উনি আমার কাছে ভগবানের দূত। পেলে-র সঙ্গে দেখা করার আগে প্রচুর মদ্যপান করতাম আমি। কিন্তু তাঁর জোরাজুরিতে নেশা ছেড়ে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন: Pele Passes Away: পেলের শেষকৃত্যে গরহাজির নেইমার! নেই কাফু-রোনাল্ডোরাও, ক্ষোভে ফুঁসছে ব্রাজিল
আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: আল নাসেরে পা রেখেই নতুন কোন বিতর্কে জড়ালেন 'সি আর সেভেন'? জেনে নিন
পেলে-র জন্য তাঁকে আলাদাভাবে সমাদর করা হত। সেটাও জানাতে ভুললেন না ব্রাজিলের কিংবদন্তির অনুরাগী। রিবেইরো যোগ করেন, '২০০২ সালের দিকে একটা কাজে আমেরিকা গিয়েছিলাম। মুখে দাড়ি, চোখে চশমা ছিল না। সবাই আমাকে দেখে 'পেলে...পেলে' বল ডাকছিল। বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর পর অনেকেই আমাকে পেলে ভেবে আমার সঙ্গে ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। সেগুলো শুনে আমিও ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলাম যে, আমিও পেলে মতোই দেখতে! আমি যখন নিজের আসল পরিচয় দিয়েছিলাম, তখন কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না।'
পেলে-র খুবই প্রিয় স্যান্টোসের জার্সি গায়ে চাপিয়ে রিবেইরো এসেছিলেন। তিনি আসলে তাঁর 'আইডল'-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়স থেকে মানবতার জন্য কাজ করে এসেছেন সদ্য প্রয়াত পেলে। এহেন মানুষকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলেন তাঁরই মতো দেখতে রিবেইরো।