নিজস্ব প্রতিবেদন: চ্যাম্পিয়নদের হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকে যন্ত্রণা! আর হয়তো সেই কষ্টই ভিতরের আগুনটা জ্বালিয়ে দেয়। মীরাবাঈ চানুও (Mirabai Chanu) তার ব্যতিক্রম নয়। ঋতুস্রাবের যন্ত্রণাকে ভুলে গিয়েই তিনি অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics 2020) ভারোত্তোলনে দেশকে রুপো এনে দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর ছাব্বিশের ইম্ফলের কন্যা গত শনিবার দেশের হয়ে অলিম্পিক্স ইতিহাস লিখেছেন। ৪৯ কেজি বিভাগে মোট ২০২ কেজি (৮৭ কেজি স্ন্যাচ ও ১১৫ কেজি ক্লিন অ্যান্ড জার্ক) ভার তুলেছেন নিজের কাঁধে। আর পদক জয়ের আগের দিন বিকেল থেকেই ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা শুরু হয় চানুর।


আরও পড়ুন: Mirabai Chanu: খুদে 'চানু'তে মোহিত দেশের 'রুপোর মেয়ে' নিজেই, দেখুন ভিডিয়ো


চানুর মুখ্য কোচ বিজয় শর্মা বলেন, "প্রতিযোগিতার আগের দিন ও বুঝতে পারে যে, ওর ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গিয়েছে। পেটের নিচের দিক টান অনুভব করতে শুরু করে চানু। আমাদের কাছে এটা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। পদক রাউন্ডের আগে আমরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। রীতিমতো চাপ হয়ে গিয়েছিল। ফাইনালের জন্য আমাদের স্ট্র্যাটেজিও বদলাতে হয়। চানু চাইলে সরে আসতেই পারত। কিন্তু ও ঠিক করে নিয়েছিল যন্ত্রণা ভুলেই লড়াইয়ে নামবে। সর্বোচ্চ ওজন নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামার ঘোষণা করাটাও ছিল ট্যাকটিকাল একটা মুভ। যাতে বিপক্ষ বুঝতে পারে যে চানু একদম ফিট আছে এবং ও ঝলসানোর জন্য প্রস্তুত।"  


আরও পড়ুন: Mirabai Chanu: দেশে ফিরেই চানু মজলেন প্রিয় পিৎজায়


ঋতুস্রাবের যন্ত্রণার প্রসঙ্গে চানুর সংযোজন, "আমিও চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যে, পদক ম্যাচের এত কাছে এসে কেন এরকমটা হলো! কোচের সঙ্গে এই নিয়ে কথাও বলি আমি। নিজেও সন্দিহান হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ শরীর অন্যভাবে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যায় এই পরিস্থিতিতে। তবে আমি নিজের ফোকাস ধরে রেখেছিলাম। মনে মনে বলেছিলাম এসব যন্ত্রণা নিয়ে পরে ভাবা যাবে। আমরা অ্যাথলিটরা জানি এরকম পরিস্থিতিতে কীভাবে সামলাতে হয়। এগুলোর সঙ্গে অভ্যস্ত আমরা।" ২১ বছর পর দেশকে ভারোত্তোলনে অলিম্পিক্স পদক এনে দিয়েছেন চানু। এর আগে কর্নম মালেশ্বরী ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ভারোত্তোলনে। আজ 'রুপোর মেয়ে'তে মজে গোটা দেশ।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)