Manoj Tiwary, Ranji Trophy Final 2023: ব্যাটিং ভরাডুবির দায় নিয়েও ফিরে আসার বার্তা দিলেন মনোজ
চা বিরতির পর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই অলআউট হয়ে গেল বাংলা। ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed) ও অভিষেক পোড়েল (Avishek Porel)। কিন্তু জলেই গেল তাঁদের ইনিংস।
![](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/styles/zm_98x58/public/2021/09/24/347315-sabya.jpg?itok=QispSdU3)
![Manoj Tiwary, Ranji Trophy Final 2023: ব্যাটিং ভরাডুবির দায় নিয়েও ফিরে আসার বার্তা দিলেন মনোজ Manoj Tiwary, Ranji Trophy Final 2023: ব্যাটিং ভরাডুবির দায় নিয়েও ফিরে আসার বার্তা দিলেন মনোজ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/02/16/407297-16.png)
সব্যসাচী বাগচী
৩৩ বছর পরে রনজি ট্রফি (Ranji Trophy) জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলা (Bengal)। তবে প্রথম দিনেই ধাক্কা খেলেন মনোজ তিওয়ারিরা (Manoj Tiwary)। ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) গতিময় পিচে দাপট দেখালেন সৌরাষ্ট্রের (Saurashtra) পেসাররা। মাত্র ১৭৪ রানে শেষ হয়ে গেল বাংলার ইনিংস। চা বিরতির পর মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই অলআউট হয়ে গেল বাংলা। ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচ বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed) ও অভিষেক পোড়েল (Avishek Porel)। কিন্তু জলেই গেল তাঁদের ইনিংস।
ফিরে আসার বার্তা: ব্যাটিং ব্যর্থতার জের বোলারদের মধ্যেও দেখা গেল। তিন জোরে বোলার, বিশেষ করে ঈশান পোড়েলের পারফরম্যান্সও আহামরি নয়। ফলে সৌরাষ্ট্র মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে যে ৮১ রান তুলে ফেলেছে। আর ৯৩ রান তুলে দিতে পারলেই মানসিক ভাবে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ২০১৯-২০ মরসুমের রঞ্জিজয়ী দল। যদিও বঙ্গব্রিগেডের অধিনায়ক নিজেদের ভুল স্বীকার করেও ফিরে আসার বার্তা দিলেন।
বোলারদের কড়া নির্দেশ: এখনও ঘুরে দাঁড়ানো যায়। কারণ এখনও ম্যাচের চারদিন বাকি আছে। যেভাবে আমাদের জোরে বোলাররা বোলিং করেছে, তাতে কামব্যাক করার আশা করতেই পারি। তবে অহেতুক রান বিলিয়ে দিলে কিন্তু চলবে না। এবং একইসঙ্গে সঠিক জায়গায় বল রাখতে হবে। ওরা মাত্র ৯৩ রানে এগিয়ে থাকলেও, আমরা ৮টা সঠিক বল করলে এই ম্যাচে কামব্যাক অবশ্যই সম্ভব।
আরও পড়ুন: Prithvi Shaw: প্রাণে বাঁচলেন পৃথ্বী শাহ! মুম্বইতে চাঞ্চল্য! কী এমন ঘটল?
ব্যাটিং ভরাডুবির দায় স্বীকার: জানি আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি। এর পিছনে অনেকগুলো কারণ আছে। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আপাতত সামনের দিকে তাকানো ছাড়া উপায় নেই। এমন ব্যাটিং ব্যর্থতা গোটা মরসুম জুড়েই হয়নি। কপাল খারাপ, তাই ফাইনালে এমন ভরাডুবি হল। ওদের দুই বাঁহাতি জোরে বোলাররা ম্যাচে তফাৎ গড়ে দিয়েছে। তবে আমাদের শাহবাজ ও অভিষেকের লড়াই ভুললে চলবে না। ওদের জন্যই আমরা এখনও ম্যাচে বেঁচে আছি।
দ্রুত অল আউট করার লক্ষ্যে বাংলা: উইকেট ভালো। আমাদের বোলাররাও সুবিধা পাবে। তবে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে আমরা খারাপ ব্যাট করেছি। টস ফ্যাক্টর হলেও অজুহাত দিয়ে লাভ নেই। আমরা লিগ পর্বে অনেকবার ফিরে এসেছি। এবারও সেই আশায় আছি। শেষ বল পর্যন্ত আমরা লড়াই করব। ওদের দ্রুত অল আউট করে, আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের লিড নিতেই পারি।