Happy Birthday Sachin Tendulkar: জন্মদিনেই বিরল সম্মানে ভূষিত সচিন, বিশ্ববিখ্যাত স্টেডিয়ামে বসল তাঁর নামে গেট
Sachin Tendulkar, Brian Lara honoured SCG: দেশে নয়, এবার বিদেশে বিরল সম্মান পেলেন সচিন তেন্ডুলকর। বিশ্ববিখ্যাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গেট নামাঙ্কিত হল সচিনের নামেই। তাও আবার নিজের জন্মদিনে। সচিনের সঙ্গে বসল তাঁর ভালো বন্ধু ব্রায়ান লারারও নাম।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) কোটি কোটি ভক্তের রক্ত মাংসের ভগবান। ২৪ এপ্রিল, জীবনের বাইশ গজে 'ক্রিকেট ঈশ্বর' করলেন হাফ-সেঞ্চুরি। আবেগের মহাসুনামির শব্দ 'সচিন...সচিন...'! 'মাস্টার ব্লাস্টার', 'লিটল মাস্টার', 'লিটল চ্যাম্পিয়ন' ও 'রান মেশিন'! কতই না নাম সচিনের। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাটার ২৪ এপ্রিল জীবনের বাইশ গজে অর্ধ-শতরান করলেন। সচিন পা দিলেন ৫০ বছরে। আর নিজের জন্মদিনেই বিরাল সম্মান পেলেন সচিন। তাঁর প্রিয় বন্ধু ব্রায়ান লারার (Brian Lara) ও তাঁর নামে গেট উন্মোচিত হল বিদেশের মাটিতে। বিশ্ববিখ্যাত সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (Sydney Cricket Ground) ওরফে এসসিজি-তে (SCG) বাইশ গজের দুই কিংবদন্তিকে দেওয়া হল এই অনন্য সম্মান। নিউ সাউথ ওয়েলস ও অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান (Donald Bradman), অ্যালান ডেভিডসন (Alan Davidson) ও আর্থার মরিসের (Arthur Morris) মতো মহারথীদের নামে গেট রয়েছে এসসিজি-তে সেখানেই নতুন সংযোজন লারা-সচিন গেটের।
২৪ এপ্রিল যেমন সচিনের ৫০ তম জন্মদিন, ঠিক তেমনই এই মাঠে লারার প্রথম টেস্ট (১৯৯৩ সালে ২৭৭) সেঞ্চুরির ৩০ বছর পূর্তি। লারা-সচিন গেটের অবস্থান এমন জায়গায় যে, সফররত ক্রিকেটারদের এই গেট হয়েই যেতে হবে মাঠে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সচিন বলেন, 'ভারতের বাইরে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডই আমার ফেভারিট। ১৯৯১-৯২ মরসুমে প্রথম আমি অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছিলাম। তখন থেকেই এসসিজি-র সঙ্গে দুর্দান্ত সব স্মৃতি রয়েছে। সফররত দেশের ক্রিকেটাররা, আমার ও আমার ভালো বন্ধু লারার নামাঙ্কিত গেট হয়েই মাঠে ঢুকবে। এটা ভেবে ভালো লাগছে। এটা বিরাট সম্মানের'। অন্যদিকে লারা বলেন, 'এ আমার কাছে বিরাট সম্মানের। সিডনিতে এভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হল। আমি নিশ্চিত যে সচিনও আমার সঙ্গে একমত হবে। এই মাঠে আমার বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। আমি এবং আমার পরিবার যখনই অস্ট্রেলিয়ায় আসি, তখনই এসসিজি-তে ঘুরে যাই। এটা উপভোগ্য আমার কাছে।'
১৯৯১-২০১৩। সচিনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার লাভ এফেয়ার ইতিহাসের পাতায় রয়েছে। বলা যেতে ক্যাঙারুর দেশই সচিনের প্রিয় শিকার ক্ষেত্র। সচিন অজিদের বিরুদ্ধে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। এখানকার মানুষও সচিনকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। ২০০৪ সালে সচিন এই সিডনিতেই করেছিলেন অপরাজিত ২৪১। যা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সচিনের সেরা ইনিংস। সেই সময়ে সচিন চূড়ান্ত অফ-ফর্মের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। অফ-সাইডে বারবার ধরা পড়ে যাচ্ছিলেন। আর এখানে এসেই যাবতীয় সমস্যা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সচিনের এই ইনিংসই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ২০০। টেস্ট কেরিয়ারে এটিই সচিনের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের টেস্ট ইনিংস। ওই বছরই সচিন ২৪৮ করেছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। যা সচিনের টেস্ট কেরিয়ারে সর্বাধিক রানের ইনিংস।